শরীর দুর্বল হলে কোন ডাক্তার দেখাবো
এখন দেশের কমবেশি অনেক মানুষ শারীরিক দুর্বলতায় ভুগছেন এর অন্যতম কারণ শারীরিক অসুস্থতা খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম এবং অগোছালো জীবন যাপন।এর জন্যই আমাদের চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়।আমরা যদি সঠিক সময়ে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করি তাহলে আমাদের শারীরিক দুর্বলতা অনেকাংশেই কমে যাবে।
আমরা আজ আলোচনা করব শরীর দুর্বল লাগলে কোন চিকিৎসকে দেখাবো
মূলত শারীরিক দুর্বলতার জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসককে দেখানো উত্তম।স্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসাকে দেখালেই আপনি শারীরিক দুর্বলতা থেকে মুক্তি পেতে পারেন এছাড়াও আপনি যদি ঘরে বসেই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার দাবার এবংগোছালো জীবন যাপন করতে পারেন তাহলে আপনি সাইলের দুর্বলতা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
শারীরিক দুর্বলতার লক্ষণ বা কারণ কি
হিমোগ্লোবিনের অভাব : এখনকার সময়ে বেশিরভাগ মানুষই দুর্বলতায় ভুগছেন এর অন্যতম কারণ হলো শরীরে হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা কমে যাওয়া যেটাকে আমরা বলি অ্যানিমিয়া।হিমোগ্লোবিনের কাজ হল রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ করা আর এই হিমোগ্লোবিন যদি কমে যায় তখন রক্ত অক্সিজেন অক্সিজেনের সরবরাহ কমে যায় এজন্য শরীর দুর্বল রাখতে পারে।
ঘুম ঘাটতি: ঘুমের ঘাটতির কারণে ও দুর্বল লাগতে পারে,আপনার শরীরে যতটুকু ঘুমের প্রয়োজন সেই পরিমাণ ঘুম যদি না হয় তাহলে শরীর দুর্বল লাগে।শরীর সুস্থ রাখতে গেলে অবশ্যই আপনাকে দৈনিক সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
আয়রন বা লৌহে ঘাটতি: শরীর দুর্বল লাগার অন্যতম কারণ হলো আয়রন বা লৌহের ঘাটতি। আয়রন বা লৌহজাতীয় খাবার না খেলে শরীরে দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।আর এই সমস্যাটা বেশি দেখা দেয় মেয়েদের। কারন মেয়েদের গর্ভাবস্থায় এবং পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে আয়রন বা লৌহের ঘাটতি সবথেকে বেশি দেখা যায়।
ডায়াবেটিসের কারণে: অনেক সময় আমরা জানি না আমাদের শরীরে ডায়াবেটিস আছে কিনা,এই ডায়াবেটিস রোগে যখন আক্রান্ত হয় তখন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ফলে শরীর দুর্বল রাখতে শুরু করে।
ওজন বৃদ্ধি: অনেক সময় অতিরিক্ত ওজনের কারণেও শরীর দুর্বল রাখতে পারে।
পানির অভাব:শরীরে যদি পানি শূন্যতা থাকে তাহলে শরীর দুর্বল রাখতে পারে তাই আমাদের দৈনিক তিন থেকে চার লিটার পানি পান করা উচিত।
শরীর চর্চা: আমরা যদি সারাদিনও শরীরচর্চা না করি তাহলে শরীর দুর্বল রাখতে পারে আবার অতিরিক্ত শরীরচর্চার কারণেও শরীর দুর্বল লাগতে পারে।
তাই আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে বা শারীরিক অসুস্থতা থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই রুটিন অনুযায়ী পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে জীবন যাপন করতে হবে।