গনোরিয়া কত দিনে ভালো হয়

Pathology Knowledge
0

 গনোরিয়া কত দিনে ভালো হয়


গনোরিয়া বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পরিচিত একটা রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে।বর্তমানে নারী-পুরুষ অনেকেই এই গনোরিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা না করলে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।তাই আমরা আজ জানবো গনোরিয়া রোগের লক্ষণ, গনোরিয়া কেন হয় বা গনোরিয়া হলে ভালো হতে কতদিন সময় নেয়।






আমরা আজ এই আর্টিকেলে আলোচনা করব  গনোরিয়া কত দিনে ভালো হয়


গনোরিয়া কি


Neisseria gonorrhoeae  নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে গনোরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।গনোরিয়া একটি যৌনবাহিত রোগ। গনোরিয়া পুরুষ ও মহিলা উভয়ই আক্রান্ত হয়ে থাকে ।এটি একটি সংক্রামক ব্যাধি। গনোরিয়া যৌন মিলনের ফলে একজন থেকে আরেকজনের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে।



 গনোরিয়া রোগের লক্ষণ


গনোরিয়ায় যেহেতু পুরুষ ও মহিলা আক্রান্ত হয় সেহেতু পুরুষ মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়।





পুরুষের ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো নিচে দেওয়া হল:


১.প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া করা।

২.প্রস্রাবের সময় ব্যথা হওয়া।

৩.অন্ডকোষে অস্বাভাবিকভাবে ব্যাথা হওয়া।

৪.গলায় সব সময় ব্যথা থাকা।

৫.অতিরিক্ত মাত্রায় ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।

৬.বেশিক্ষণ প্রস্রাবের  বেগ ধরে রাখতে না পারা।

৭.শরীরে সবসময় জ্বর থাকা।

৮.পুরুষাঙ্গ থেকে সাদা, সবুজ বা হলুদ  পুজ বের হওয়া।

৯.পুরুষাঙ্গের মাথা ফুলে যাওয়া বা লালচে রং ধারণ করা।

১০.মলদ্বারে চুলকানি বা রক্তপাতের সমস্যা হতে পারে ।

১১.চোখ লালচে রং ধারণ করা বা ফুলে যাওয়া।

১২.পুরুষের যৌন শক্তি হ্রাস পাওয়া।


মেয়েদের ক্ষেত্রে লক্ষণ গুলো নিচে দেওয়া হল:


১.প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া করা।

২.প্রস্রাবের সময় ব্যথা হওয়া।

৩.পিরিয়ডের সময় অত্যাধিক রক্তপাত হওয়া।

৪.গলায় সব সময় ব্যথা থাকা।

৫.অতিরিক্ত মাত্রায় ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।

৬.বেশিক্ষণ প্রস্রাবের  বেগ ধরে রাখতে না পারা।

৭.শরীরে সবসময় জ্বর থাকা।

৮.মেয়েদের যোনিপথ থেকে সাদা, সবুজ বা হলুদ  পুজ বের হওয়া। 

৯.পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত ব্যথা অনুভূত হওয়া।

১০.মলদ্বারে চুলকানি বা রক্তপাতের সমস্যা হতে পারে ।

১১.চোখ লালচে রং ধারণ করা বা ফুলে যাওয়া।

১২.পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত ব্যথা অনুভূত হওয়া।

১৩.অনেক সময় মেয়েদের বন্ধত্বের সমস্যা দেখা দিতে পারে।


উপরোক্ত লক্ষণগুলো দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া উচিত যে গনোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে কি না।


গনোরিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ


গনোরিয়া যেহেতু যৌনবাহিত রোগ। সেহেতু যৌন মিলনের ফলে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। একের অধিক যৌন মিলনের ফলেও গনোরিয়া রোগ হতে পারে।গনোরিয়া যোনিপথ,পায়ুপথ ও মুখ এর ভেতর দিয়েও মানুষের শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে।এছাড়াও অনিরাপদ যৌন মিলনের ফলেও গনোরিয়া রোগ হতে পারে।গনোরিয়া আছে এরকম একজনের সাথে যৌন মিলনের ফলে ও গনোরিয়া রোগ হতে পারে।


গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায়


১.নিরাপদ যৌন মিলন করতে হবে।

২.একজন জীবনসঙ্গিনী বেছে নিতে হবে।

৩.একাধিক ব্যক্তির সাথে যৌন মিলন করা থেকে বিরত থাকতে হবে ।

৪.যৌন মিলনের সময় অবশ্যই কনডম ব্যবহার করতে হবে ।

৫.স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে যদি একজনের গনোরিয়া রোগ হয় তাহলে যৌন মিলন থেকে বিরত থাকতে হবে।

৬.সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।

৭.বিশেষ করে পিরিয়ডের সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।


উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চললে আমরা গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারবো বা গনোরিয়া প্রতিরোধ করতে পারব।


গনোরিয়া কত দিনে ভালো হয়


গনোরিয়া রোগে আক্রান্ত হলে রোগী ভালো হতে কতদিন সময় নেবে তার সুস্পষ্ট কোন ধারণা পাওয়া যায়নি। গনোরিয়া যদি প্রথম পর্যায়ে ধরা পড়ে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করলে দ্রুত সুস্থ হওয়া সম্ভব ।কিন্তু যদি গনোরিয়া আক্রান্ত হওয়ার অনেকদিন পরে রোগটি ধরা পড়ে তাহলে এটি ভালো হতে বেশ কিছুদিন সময় লাগে।



সর্বোপরি গনোরিয়া একটি মারাত্মক সংক্রামক ব্যাধি তাই এই রোগ সম্পর্কে আমরা যদি সঠিক ধারণা নিতে পারি যে এই রোগ কিভাবে আমরা প্রতিরোধ করতে পারি তাহলে আমরা এই সংক্রামক ব্যাধি থেকে নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারব বা এই রোগ সম্পর্কে আমরা প্রতিরোধ করতে পারব।

Tags:

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)