পাইলস থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু
বর্তমানে বাংলাদেশে পাইলস একটি পরিচিত রোগ। এখন অধিকাংশ মানুষই এই পাইলস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা যদি এই পাইলস সম্পর্কে কিছু ধারনা নিতে পারি তাহলে আমরা এই পাইলস থেকে মুক্তি পেতে পারি বা প্রতিরোধ করতে পারি।অনেক সময় এই পাইলস বা ফিস্টুলা ক্যান্সারের রূপ নেয় যা আমাদের জীবনকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়।তাই আমরা পাইলস রোগের লক্ষণ, পাইলস রোগের কারণ, পাইলস রোগ থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু এই সম্পর্কে কিছু তথ্য জানবো।
আমরা আর এই পোস্টে আলোচনা করব পাইলস থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু
পাইলস কি
হেমোরয়েড যাকে বাংলায় আমরা পাইলস বলে থাকি।মলদ্বারের ভিতরে রেকটাম থাকে ।আর এই রেকটাম এর ভিতরে বা বাহিরে রক্ত শিরার মত কিছু জালিকা থাকে যা প্রয়োজন অনুযায়ী সংকুচিত বা প্রসারিত হয়।রক্তশিরা গুলো যখন প্রয়োজন অনুযায়ী সংকুচিত বা প্রসারিত হতে না পারে তখন কিছুটা ফুলে যায় আর এই ফুলে যাওয়াকে আমরা পাইলস বলে থাকি।
পাইলস কত ধরনের
পাইলস মূলত দুই ধরনের
১.অভ্যন্তরীণ পাইলস
২.বাহ্যিক পাইলস
পাইলস রোগের লক্ষণ
পায়েলকে আমরা আবার অশ্ব রোগও বলে থাকি।এই পাইলস রোগের কিছু সাধারণ লক্ষণ নিচে দেয়া হল।
১.মলত্যাগ করার সময় মলদ্বারে অতিরিক্ত ব্যথা বা জ্বালাপোড়া হওয়া।
২.মলদ্বারে এলার্জি বা চুলকানি হওয়া।
৩.মলত্যাগ করার সময় মল বা পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়া।
৪.মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ অনুভূত হওয়া।
৫.মলদ্বারের চারিপাশে মাংসের পিণ্ড তৈরি হওয়া।
৬.মলদ্বার দিয়ে রক্ত ক্ষরণ হওয়া।
পাইলস থেকে ক্যান্সার এর লক্ষণ
১.মলত্যাগের সময় মল বা পায়খানার পরিবর্তন হওয়া।
২.মলদ্বার থেকে রক্ত ক্ষরণ হওয়া।
৩.মলদ্বার থেকে পাতলা মল বা পায়খানা হওয়া।
৪.মলদ্বারের চারিপাশে মাংসের পিণ্ড তৈরি হওয়া।
উপরোক্ত সমস্যাগুলে দেখা দিলে অবশ্যই আমাদের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত আর যদি পাই প্রথম পর্যায়ে ধরা পড়ে তাহলে এটা অপারেশন ছাড়া চিকিৎসা করে সারিয়ে তোলা সম্ভব।
পাইলস রোগের কারণ
১.দীর্ঘদিন যাবত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকা।
২.মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ দেওয়া।
৩.দীর্ঘক্ষণ যাবৎ মলবা পায়খানার বেগ আটকে রাখা ।
৪.শারীরিক বা কাইক পরিশ্রম না করা।ূ
৫.অতিরিক্ত ওজনের বৃদ্ধি পাওয়া।
৬.দীর্ঘক্ষণ যাবত টয়লেটে বসে থাকা।
৭.মলদ্বার বা পায়ুপথে যৌন মিলন করা।
পাইলস থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু
পাইলস থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে পাইলসের মতো আরেকটি সমস্যা আছে ফিস্টুলা এটি যদি দীর্ঘদিন যাবত মলদ্বারে স্থায়ী থাকে তাহলে এটি থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তারপরও পাইলসের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুতই আমাদের চিকিৎসাকে শরণাপন্ন হওয়া উচিত এবং চিকিৎসা করে দ্রুতই পাইলসের সমস্যা দূর করা উচিত।
সর্বোপরি পাইলস রোগ সম্পর্কে যদি আমরা সঠিক ধারণা নিতে পারি তাহলে এই রোগ থেকে আমরা মুক্ত হতে পারি বা এই রোগ থেকে যাতে আমাদের শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি না হয় সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখতে পারি তাই আজ আমরা এই সম্পর্কে এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা কিছু আলোচনা করলাম।