হাত ও পায়ের জয়েন্টে ব্যথা হওয়ার কারণ
দৈনন্দিন কাজের সময় হঠাৎই দেখা যায় আমাদের হাত বা পায়ের জয়েন্টে ব্যথা করছে। কিন্তু হাত ও পায়ের জয়েন্টে ব্যাথা হওয়ার কারণ সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা। তাই আমরা যে পোস্টের মাধ্যমে হাত ও পায়ের জয়েন্টে ব্যথা হওয়ার কারণ, হাত ও পায়ের জয়েন্টে ব্যাথা হওয়ার লক্ষণ,হাত ও পায়ের জয়েন্টে ব্যথা কমানোর উপায়, হাত ও পায়ের জয়েন্টে ব্যাথা হলে কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাবো এবং অর্থোপেডিক ডাক্তারের তালিকা খুলনা সম্পর্কে আলোচনা করব।
আমরা আজ এই আর্টিকেলে আলোচনা করব হাত ও পায়ের জয়েন্টে ব্যথা হওয়ার কারণ
হাত ও পায়ের জয়েন্টে ব্যথা হওয়ার কারণ
আমাদের শরীরে হাত ও পায়ের জয়েন্টে কোন না কোন কারনে ব্যথা আর সৃষ্টি হয়ে থাকে। নিম্নে কারণগুলো দেওয়া হলঃ
১.অস্টিও আর্থ্রাইটিস, বারসাইটিস, রিউম্যাটিক আর্থ্রাইটিস এবং গাউট এর মত সমস্যা থাকলে হাত ও পায়ের জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে।
২.হাত ওপায়ের জয়েন্টে প্রদাহ জনিত কারণে ব্যথা হতে পারে।
৩.হাত ও পায়ের জয়েন্ট ভেঙে গেলে, মচকে গেলে বা আঘাত পেলে জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে ।
৪.সংক্রামক যেমনঃ ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস আক্রমণের ফলে হাত ও পায়ের জয়েন্টে ব্যাথা হতে পারে।
৫.হিমোফিলিয়া রোগ বা বংশগত ত্রুটির কারণে হাত ও পায়ের জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে ।
৬.অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারণে হাত ও পায়ের জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে।
হাত ও পায়ের জয়েন্টে ব্যাথা হওয়ার লক্ষণ
হাত ও পায়ের জয়েন্টে ব্যাথা হলে সাধারণ কিছু উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা দেয়। নিম্নে লক্ষণগুলো দেওয়া হলোঃ
১.হাত ও পায়ের জয়েন্টে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়।
২.হাত ও পায়ের জয়েন্ট ফুলে যায়।
৩.হাত ও পায়ের জয়েন্ট গুলো লক হয়ে যায় অর্থাৎ নড়াচড়া করানো যায় না।
৪.হাত ও পায়ের জয়েন্টগুলো কোমল বা নরম হয়ে যায় ।
৫.শরীরে জ্বর জ্বর ভাব লাগা।
উপরোক্ত সমস্যা গুলির দেখা দিলে অবশ্য এই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
হাত ও পায়ের জয়েন্টে ব্যথা কমানোর উপায়
১.সামুদ্রিক মাছ হাত ও পায়ের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে । কারণ সামুদ্রিক মাছের প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি পাওয়া যায় যা শরীরে প্রদা হোক কমাতে সাহায্য করে।
২.হলুদ ব্যথা কমানোর জন্য খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। হলুদে আছে এন্টি অক্সিডেন্ট যা শরীরে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে । হলুদ খাওয়ার ফলে শরীরের হাত ও পায়ের জয়েন্টে ব্যথা কম হতে পারে।
৩.শারীরিক ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করার মাধ্যমে হাত ও পায়ের জয়েন্টের ব্যথা কমানো সম্ভব।
৪.গ্রিন টি ব্যথা কমানোর জন্য খুবই উপকারী । গ্রিন টি খেলে হাত ও পায়ের জয়েন্টে ব্যথা কম হতে পারে।
৫.সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই পাওয়া যায়। যা শরীরে হাত ও পায়ের জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে ।
৬.ফাইবার জাতীয় খাবার যেমনঃ বাদাম যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও বাদামে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই ওমেগা থ্রি যা শরীরের হাত ও পায়ের জয়েন্টে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
৭.শরীলে জয়েন্টের ব্যথা কমানোর জন্য আদা রসুন খুবই উপকারী । প্রতিদিন আদা ও রসুন খেলে শরীরের হাত ও পায়ের জয়েন্টের ব্যথা কমতে পারে।
৮.আনারস ব্লুবেরী জাতীয় ফল শরীরে জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
৯.এছাড়াও হাত ও পায়ের জয়েন্টে ব্যথা হলে হালকা গরম পানির সেক দিলে আরাম পাওয়া যায়।
১০.এছাড়াও অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির কারণে হাত ও পায়ের জয়েন্টে ব্যাথা হতে পারে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।
হাত ও পায়ের জয়েন্টে ব্যাথা হলে কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাবো
হাত ও পায়ের জয়েন্টে ব্যাথা হলে অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো উচিত। নিচে অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা খুলনা দেওয়া হল।
অর্থোপেডিক ডাক্তারের তালিকা খুলনা
অধ্যাপক ডাঃ শৈলেন্দ্র নাথ মিস্ত্রী
এমবিবিএস, এমএস (অর্থোপেডিক্স), ডি-অর্থো, এফ-অর্থো (সিঙ্গাপুর) - গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা।
Prof. Dr. Shailendra Nath Mistry
MBBS, MS (Orthopaedics), D-Ortho, F-Ortho (Singapore) - Gazi Medical College Hospital, Khulna.
ডাক্তারের চেম্বার
- গাজী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল, খুলনা।
ডাক্তারের পরামর্শ ফি
- নতুন রোগী ১০০০ টাকা
- পুরাতন রোগী ৮০০ টাকা
ডাক্তারের চেম্বার
- ফাতিমা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, খুলনা।
- ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার, খুলনা।
ডাক্তারের পরামর্শ ফি
- নতুন রোগী ৮০০ টাকা
- পুরাতন রোগী ৬০০ টাকা
ডাক্তারের চেম্বার
- টপ চয়েজ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, খুলনা।
ডাক্তারের পরামর্শ ফি
- নতুন রোগী ৭০০ টাকা
- পুরাতন রোগী ৬০০ টাকা
ডাক্তারের চেম্বার
- প্রিন্স ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার, খুলনা।
- গরিব নেওয়াজ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, খুলনা।
- টপ চয়েজ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, খুলনা।
ডাক্তারের পরামর্শ ফি
- নতুন রোগী ৭০০ টাকা
- পুরাতন রোগী ৬০০ টাকা
ডাক্তারের চেম্বার
- সামি হাসপাতাল, খুলনা।
- সিটি কুইন্স ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, খুলনা ।
- সিটিজেন ল্যাব, খুলনা।
- অংকুর ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার, খুলনা।
ডাক্তারের পরামর্শ ফি
- নতুন রোগী ৮০০ টাকা
- পুরাতন রোগী ৭০০ টাকা
ডাক্তারের চেম্বার
- খুলনা ল্যাব ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার, খুলনা।
ডাক্তারের পরামর্শ ফি
- নতুন রোগী ৭০০ টাকা
- পুরাতন রোগী ৬০০ টাকা
ডাক্তারের চেম্বার
- পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিঃ, খুলনা।
- সাউথ জোন (প্রাঃ) হাসপাতাল, খুলনা।
- সামি হাসপাতাল, খুলনা।
ডাক্তারের পরামর্শ ফি
- নতুন রোগী ৭০০ টাকা
- পুরাতন রোগী ৬০০ টাকা
ডাক্তারের চেম্বার
- আলিফ ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার, খুলনা।
ডাক্তারের পরামর্শ ফি
- নতুন রোগী ৬০০ টাকা
- পুরাতন রোগী ৫০০ টাকা
ডাক্তারের চেম্বার
- ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, খুলনা।
ডাক্তারের পরামর্শ ফি
- নতুন রোগী ৭০০ টাকা
- পুরাতন রোগী ৫০০ টাকা
ডাক্তারের চেম্বার
- ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক লিঃ, খুলনা।
- সামি হাসপাতাল, খুলনা।
ডাক্তারের পরামর্শ ফি
- নতুন রোগী ৭০০ টাকা
- পুরাতন রোগী ৫০০ টাকা
ডাক্তারের চেম্বার
- পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিঃ, খুলনা।
ডাক্তারের পরামর্শ ফি
- নতুন রোগী ৭০০ টাকা
- পুরাতন রোগী ৫০০ টাকা
ডাক্তারের চেম্বার
- পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিঃ, খুলনা।
- রাশিদা মেমোরিয়াল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক, খুলনা।
ডাক্তারের পরামর্শ ফি
- নতুন রোগী ৭০০ টাকা
- পুরাতন রোগী ৫০০ টাকা
ডাক্তারের চেম্বার
- খুলনা হেলথ কেয়ার হাসপাতাল প্রাঃ লিঃ,খুলনা।
ডাক্তারের পরামর্শ ফি
- নতুন রোগী ৬০০ টাকা
- পুরাতন রোগী ৫০০ টাকা