রক্তে SGPT কমে গেলে কি হয়
বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ লিভারের সমস্যায় ভুগছেন।এর অন্যতম কারণ হলো এসজিপিটি (SGPT) বেড়ে যাওয়া।তাই আমাদের আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন এসজিপিটি টেস্ট কি, SGPT টেস্ট কেন করা হয়, রক্তের SGPT বেড়ে গেলে কি হয়, রক্তের SGPT কমে গেলে কি হয়, এসজিপিটি কমানোর উপায় এবং লিভার ফাংশন টেস্ট কি কি সম্পর্কে।
আমরা আজ এই আর্টিকেলে আলোচনা করব রক্তে SGPT কমে গেলে কি হয়
এসজিপিটি টেস্ট কি
এসজিপিটি (SGPT) টেস্ট হলো লিভারে তৈরি হওয়া এনজাইম পরিমাপ করার টেস্ট ।এসজিপিটি (SGPT) অ্যালানাইন ট্রান্সমিনেজ (ALT) নামে পরিচিত।লিভারের সমস্যা জনিত কারণে এসজিপিটি করা হয়।
SGPT টেস্ট কেন করা হয়
লিভার ইনফেকশন বা কিডনি জনিত সমস্যা সনাক্তকরণের জন্য SGPT টেস্ট করা হয়। লিভার বা কিডনিতে থাকা এনজাইম বৃদ্ধি পেলে তা রক্তের সাথে মিশে যায়। যার ফলে SGPT টেস্টের মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে লিভার বা কিডনি সমস্যা সনাক্ত করা যায়।
রক্তে SGPT বেড়ে গেলে কি হয়
লিভারে ভাইরাসের আক্রমণ হলে SGPT বেড়ে যায় । SGPT বেড়ে গেলে লিভার সিরোসিস বা ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।অনেক সময় কিডনিতে সমস্যা হলে SGPT বেড়ে যায়।লিভার ক্যান্সার হলে রক্তে SGPT বেড়ে যায়।
রক্তে SGPT কমে গেলে কি হয়
লিভারে তৈরি হওয়া এনজাইমের পরিমাণ কমে গেলে SGPT পরিমাণ কমে যেতে পারে। তবে রক্তে খুব কম SGPT কমে যায়।
এসজিপিটি কমানোর উপায়
ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করলেই সহজে এসজিপিটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
১.পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
২.চিনি যুক্ত খাবার পরিহার করা।
৩.চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করা।
৪.অ্যালকোহল, মদ্যপান এবং ধূমপান পরিহার করা।
৫.নিয়মিত শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করা।
৬.অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার না খাওয়া।
৭.নির্দিষ্ট ওজন বজায় রাখা।
৮.প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা।
৯.রাসায়নিক বা বিষাক্ত পদার্থ এড়িয়ে চলা।
উপরোক্ত উপায়গুলো অবলম্বন করলে SGPT নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এবং লিভার কে সুস্থ রাখা যায়।
লিভার ফাংশন টেস্ট কি কি
১.সিরাম এলবুমিন(Serum Albumin)
২.টোটাল প্রোটিন(Total Protein)
৩.বিলিরুবিন (Bilirubin)
৪.এসজিপিটি (SGPT)
৫.এসজিওটি (SGOT)
৬.অ্যালকালাইন ফসফেট (ALP)
৭.এলডিএইচ(LDH)
৮.প্রোথ্রোমবিন টাইম (PT)
লিভার ফাংশন টেস্ট কেন করা হয়
লিভার সিরোসিস, জন্ডিস, লিভার ক্যান্সার, লিভারে প্রদাহ, লিভারে ভাইরাসের সংক্রমণ নির্ণয় করার জন্য লিভার ফাংশন টেস্ট করা হয়।
বাংলাদেশে লিভার টেস্ট খরচ কত
সর্বোপরি শরীরে SGPT পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরী। কারণ রক্তের SGPT বেড়ে গেলে লিভার ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাই আমাদের তিন মাস পর পর SGPT টেস্ট করানো উচিত।