শারীরিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ কীভাবে ঘুমের ধরণ উন্নত করতে পারে
ঘুম শরীর শরীর সুস্থ রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণগ। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে ঘুমের ঘাটতি দেখা দেয়। যদি প্রতিদিন শারীরিক কার্যকলাপে অংশ নেওয়া যায় তাহলে ভালো ঘুম হতে পারে। তাই আমাদের আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়, ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার, অনিদ্রা দূর করার ব্যায়াম, রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম, কোন ভিটামিনের অভাবে বাচ্চাদের ঘুম কম হয়, কি খেলে ঘুম কম হয়, কোন ভিটামিন খেলে ঘুম বেশি হয় এবং শারীরিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ কীভাবে ঘুমের ধরণ উন্নত করতে পারে।
আমরা আজ এই আর্টিকেলে আলোচনা করব শারীরিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ কীভাবে ঘুমের ধরণ উন্নত করতে পারে
শারীরিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ কীভাবে ঘুমের ধরণ উন্নত করতে পারে
শারীরিক কার্যকলাপ ঘুমের ধারণ উন্নত করতে সাহায্য করে। শারীরিক কার্যকলাপ বলতে বোঝায় শারীরিক ক্রিয়াকলা বা শারীরিক পরিশ্রম। শারীরিক ক্রিয়াকলা করার মাধ্যমে শরীরে শক্তি অনুবুত হয়। যার কারণে ঘুমের ধরন উন্নত হতে পারে বা ভাল ঘুম হতে পারে।
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়
মানুষের টেনশন বা শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। তবে অনেক সময় ভিটামিনের অভাবেও ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়্ নিচে কয়েকটি ভিটামিনের নাম দেয়া হলো যে ভিটামিনের অভাবে শরীরে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয় বা ঘুম কম হয় ।
১.শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে ঘুম কম হয়। কারণ ভিটামিন ডি ঘুম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
২.শরীরে মেলাটোনিন নামে একটি হরমোন রয়েছে যা ঘুম নিয়ন্ত্রণ করে। আর এই মেলাটোনিন হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে ভিটামিন বি৬। যদি শরীরে ভিটামিন বি৬ এর ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে মেলাটোনিন কমে যায় যার ফলে ঘুম কম হয়।
৩.ম্যাগনেসিয়াম শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিন। কারণ ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি জনিত কারণে শরীরে বিভিন্ন মাংসপেশিতে টাম অনুভূত হয়।যার কারণে ধরন ঘুমের ধরন কমে যেতে পার।
৪.ভিটামিন বি১২ স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রম সচল রাখতে সাহায্য করে। তাই শরীরে যদি ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রম ব্যাহত হয়। যার ফলে শরীরের দুর্বলতা অনুভূত হয় এবং ঘুম কম হয়।
ঘুম না আসার কারণ
শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে বা বিভিন্ন ধরনের বদ অভ্যাস থাকার কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। তাই নিতে ঘুম না আসার কয়েকটি কারণ দেওয়া হলোঃ
১.অতিরিক্ত মানসিক টেনশন ঘুম না আসার কারণ।
২.সঠিক সময়ে ঘুমাতে না যাওয়ার কারণ।
৩.অতিরিক্ত ধূমপান বা মদ্যপান ঘুম না আসার কারণ।
৪.অতিরিক্ত ক্যাফেইন জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করা ব্যবহার করা।
৫.শরীরে ভিটামিনের অভাব।
৬.অতিরিক্ত চা বা কপি পান করা।
৭.ঘুমানোর সময় ফোন বা ল্যাপটপ দেখা।
প্রতিকার
১.অতিরিক্ত মানসিক টেনশন বা চাপ না নেওয়া।
২.সঠিক সময়ে ঘুমাতে যাওয়া।
৩.রাত জেগে কাজ না করা।
৪.অতিরিক্ত চা বা কপি পান করা থেকে বিরত থাকা।
৫.ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়া।
৬.ঘুমানোর সময় ফোন বা ল্যাপটপ দূরে রাখা।
রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম
বর্তমানে অধিকাংশ মানুষের ঘুমের সমস্যা রয়েছে। আর এই ঘুমের সমস্যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় অনিদ্রা রোগ। মূলত রাতে ঘুম না আসা বা ঘুমালেও বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়াকে অনিদ্রা রোগ বলা হয়।
কি খেলে ঘুম কম হয়
শারীরিক সুস্থতা ঘুম আসার প্রধান কারণ। তখনই ঘুম আসবে যখন শরীর সুস্থ থাকবে। তাই নিচে কয়েকটি খাবারের নাম দেওয়া হলো যে খাবার হল খেলে ঘুম কম হয়।
১.চা বা কফি
২.অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার।
৩.ধূমপান বা মদ্যপান
৪.ভাজাপোড়া খাবার।
৫.ব্রেড জাতীয় খাবার ।
৬.ক্যাফেইন যুক্ত খাবার ।
৭.চকলেট বা আইসক্রিম।
কোন ভিটামিন খেলে ঘুম বেশি হয়
শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। তাই যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন খাওয়া হয় তাহলে ঘুম ভালো হয়। ভিটামিন ডি ঘুম ভাল হওয়ার প্রধান উৎস।
নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ কি দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে
শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বা কার্যকলাপে শরীর এবং মন দুটোই সুস্থ থাকে। কারণ নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যার কারণে বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমন- ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেস্টেরল ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে তাই আমাদের প্রতিদিন শারীরিক কার্যকলাপ বা ব্যায়াম করা উচিত।
সর্বোপরি আমাদের আজকের এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা শারীরিক কার্যকলাপ বা ক্রিয়া কলাপ এর মাধ্যমে ঘুম ভালো হওয়া সম্ভব এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে বাঁচা সম্ভব এবং শরীরে ঘুমের ঘাটতি দেখা দিলে তা প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।