আগুনে পোরা রোগির প্রথম চিকিৎসা কী?

Pathology Knowledge
0

আগুনে পোড়া রোগীর প্রাথমিক ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো দহন প্রক্রিয়া দ্রুত বন্ধ করা। এটি কীভাবে করবেন, তার বিস্তারিত নির্দেশনা আজকে আমাদের এই আর্টিকেলে প্রদান করা হবে। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থা এবং ঢাকার সহ আশেপাশের জেলা গুলোর ব্যাপক ঘনবসতির কারণে যেকোনো সময় অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, এবং প্রতিনিয়ত ঘটে আসছে। যার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। এবং আগুনে পোড়া রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা কি এবং কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে আগুনে পোড়া রোগে কঠিন বিপদ থেকে বেঁচে যেতে পারে সে সম্পর্কে আমাদের এই আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। 




আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অবশ্যই সচেতন থাকবেন এবং আপনার প্রতিবেশীকে সচেতন করার চেষ্টা করবেন। 


আগুনে পোড়া রোগীর প্রথম কাজ হচ্ছে তার গায়ের আগুন নিভানো অথবা তাপ বা আগুনের যে উৎস রয়েছে ,সেখান থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া। এজন্য অবশ্যই আগুনে পোড়া রোগী দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে নিজেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে হবে এবং পোড়া কাপড় বা চুলের ধোঁয়া যেগুলো শ্বাস নেওয়ার বিপদজনক সে সমস্ত জায়গা থেকে অধিক রোগীকে টেনে নিয়ে আসতে হবে যাতে সে বেঁচে যেতে পারে। 


বিদ্যুৎ রাসায়নিক দ্রব্যের মাধ্যমে করলে সরাসরি তাকে স্পর্শ না করে শুকনো কাঠ অথবা প্লাস্টিকের লাঠি অথবা রড দিয়ে তাকে বিদ্যুৎ বিত থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে অথবা রাসায়নিক দ্রব্য থেকে দূরে সরিয়ে নিতে হবে। 


আগুনে পুড়ে গেলে পোড়া স্থানে যত দূরত্ব সম্ভব ঠান্ডা পানি লাগাতে হবে। এতে করে পোড়া স্থানে জ্বালাপোড়া কমে হবে এবং ফোসকা কম পড়বে।


আগুনে পুড়ে গেলে সাথে সাথে এন্টিসেপটিক ক্রিম লাগাতে পারেন। এতে করে পোড়া স্থানে ব্যথা কম হবে এবং ফোস খাওয়া সম্ভাবনাও কম থাকে।


আগুনে পুড়ে গেলে পোড়া স্থান পরিষ্কার নরম কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। এতে করে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে এবং যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।


 

আগুনে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয়



অনেক সময় আগুনে পুড়ে গেলে পুড়া স্থানের সাথে সাথে ফোসকা পড়ে যায়। পরবর্তীতে এই ফোসকার মাধ্যমে ইনফেকশনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই আগুনে পুড়ে গেলে ফোসকা যাতে না পড়ে সাথে সাথে দ্রুত আগুনে পোড়া স্থানে ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে, এতে করে ফোসকা পড়ার সম্ভাবনা কম থাকে।


যদি আগুনে পুড়ে ফোসকা পড়ে যায়, তাহলে ফোসকাটি যথা সম্ভব পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে যাতে করে ইনফেকশন না হয়।


আগুনে পুড়ে ফোসকা পড়ে গেলে ফোসকা কোনোভাবেই ফাটানো যাবে না। এতে করে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।


আগুনে পুড়ে ফোসকা পড়ে গেলে ফোসকার উপরে পরিষ্কার নরম কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। যাতে করে বাইরের জীবাণু আক্রমণ করতে না পারে।


আগুনে পুড়ে ফোসকা পড়ে গেলে এন্টিসেপটিক ক্রিম লাগাতে পারেন। এতে করে ফোসকা দ্রুত সেরে যেতে পারে। 



আগুনে পোড়া রোগীর খাবার তালিকা



আগুনে পুড়ে যাওয়া রোগের খাবার তালিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণে শরীরে ক্যালরি বা প্রোটিনের চাহিদা দ্বিগুন বেড়ে যায়। যার ফলে এ সময় বেশি বেশি করে ক্যালোরি বা প্রোটিনযুক্ত খাবার খাবার তালিকায় যুক্ত করতে হবে।


প্রোটিন যুক্ত খাবার যেমনঃ নরম মুরগির মাংস, সেদ্ধ ডিম, দুধের তৈরি খাবার, চর্বিযুক্ত গরুর মাংস এবং দেশি মাছ খাবার তালিকায় রাখতে হবে। 


এছাড়াও আগুনে পোড়া রোগের খাবার তালিকায় ভিটামিন এ, ই বা ভিটামিন ডি এবং ওমেগা থ্রি যুক্ত খাবার তালিকায় রাখতে হবে। এতে করে আগুনে পোড়া রোগী দ্রুত সুস্থ হবে। 


আগুনে পোড়া রোগীর খাবার তালিকায় তরল জাতীয় খাবার রাখতে হবে। কারণ এ সময় শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসামান্যতা দেখা দেয়। তরল জাতীয় খাবার ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে।


আমাদের আজকের এই পোস্টটি পড়লে আপনারা আগুনে পুরা রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা, আগুনে পোড়া রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে জানতে পারবেন। আশা করি আমাদের আজকের এই পোষ্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন।

Tags:

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)