ফেসবুকের ইতিহাসে হাজারো চাওয়া-পাওয়ার তালিকায় একটি দাবি ছিল একেবারে টপে: ডিসলাইক বাটন চাই! বছর গুনে গুনে ব্যবহারকারীরা ভাবছিলেন, মেটা কি আদৌ শুনছে? অবশেষে সেই যুগান্তকারী ঘটনা ঘটে গেল। হ্যাঁ, পরীক্ষামূলক হলেও, ফেসবুক সত্যি সত্যি তাদের মোবাইল অ্যাপে চালু করে ফেলেছে ‘Dislike’ বাটন।
এখন আপনি কারও আজব মন্তব্য দেখে শুধু মাথা চুলকাবেন না, একদম বাস্তব প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারবেন। যে মন্তব্যে রাগ বাড়ে, সেখানে ঝটপট ডিসলাইক। সবই হাতের মুঠোয়!
প্রথমে ফেসবুকের মাথায় এসেছিল একটি নিচের দিকে তীরচিহ্ন দিয়ে “Annoying” নামের বাটন। কিন্তু সে ধারণা বোধহয় তাদেরকেই বিরক্ত করছিল। তাই তাড়াতাড়ি নাম পাল্টে দেওয়া হলো আরও জনপ্রিয় শব্দ: Dislike। ব্যবহারকারীরা খুশি, ট্রলরাও প্রস্তুত।
তবে একটি দুঃসংবাদ আছে। এখনো সবার ফোনে এই বাটন দেখা যাবে না। ওয়েব ভার্সনেও খবর নেই। মেটা চুপচাপ পরীক্ষা করছে, যেন বিশ্ববাসী হুট করে ডিসলাইক যুদ্ধ শুরু না করে ফেলে!
কেন এই ‘ডিসলাইক’ বাটন এত গুরুত্বপূর্ণ?
ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার যুগ শেষ। এতদিন শুধু লাইক আর ভালোবাসার ইমেজে সাজানো সমাজ দেখে আমাদের ভেতরের ক্ষুদ্র ক্ষোভ জমে উঠেছিল। সবাই তো আর সব কিছুকে লাইক দিয়ে যেতে পারবে না! কোনো পোস্ট দেখে মনে মনে চিৎকার করলেও, আঙুলে চাপ ছিল শুধু লাইক বাটনে!
এই বাটন যুক্ত হওয়ায় বাস্তবতা প্রকাশের রাস্তা খুলে গেল। কেউ বাজে মন্তব্য করলে বা অদ্ভুত কিছু পোস্ট করলে, ডিসলাইক করে তার ভার্চুয়াল গর্ব ভেঙে দিতে পারবেন। বিশ্লেষকদের মতে, এতে সোশ্যাল মিডিয়ার কথোপকথন হবে আরও সৎ, স্বচ্ছ এবং মাঝে মাঝে একটু ঝালও!
সামনে কী হতে পারে?
প্রযুক্তিবিদদের ধারণা, সীমিত ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া দেখে ধীরে ধীরে সবখানে চালু করা হবে ফিচারটি। তবে একটাই ভয় থেকে যায়: এই ডিসলাইক যুগ শুরু হলে বন্ধু তালিকা কি টিকবে আগের মতো?
শেষ কথা: এখন থেকে কেউ যদি বলেন, “আমার পোস্টে লাইক দাও”, আপনি নির্দ্বিধায় বলবেন: “দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নেব!”
