গর্ভাবস্থায় সর্দি জ্বর হলে করণীয়
একজন গর্ভবতী মহিলা গর্ভাবস্থায় নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় শরীরে কিছু হরমোন জনিত কারণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ।এর ফলে গর্ভবতী মহিলারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর ফলে গর্ভাবস্থায় প্রায় সর্দি জ্বর লেগেই থাকে।তাই আমরা আজ জানবো গর্ভাবস্থায় সর্দি জ্বর হলে করণীয় বা গর্ভাবস্থায় সর্দি জ্বর কেন হয় বা গর্ভাবস্থায় সর্দি জ্বরের লক্ষণ কি কি।
আমরা আজ এই আর্টিকেলে আলোচনা করব গর্ভাবস্থায় সর্দি জ্বর হলে করণীয়
গর্ভাবস্থায় সর্দি জ্বর হওয়ার লক্ষণ
গর্ভাবস্থায় খুব সহজেই জ্বর সর্দিতে আক্রান্ত হয়। গর্ভাবস্থায় মহিলারা সাধারণত সাধারণ জ্বর সর্দিতে আক্রান্ত হয় কিন্তু এই জ্বর সর্দি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তখন অবশ্যই ডাক্তারের বা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
১.শরীরে জ্বর দীর্ঘস্থায়ী হওয়া
২.জ্বরের সাথে কাশি বা গলা ব্যথা হওয়া।
৩. প্রসাবে ইনফেকশনের কারণে জ্বর হওয়া।
৪.শরীরে পানি শূন্যতার ভাব প্রকাশ পাওয়া।
৫.শরীর অতিরিক্ত দুর্বল লাগা।
৬.খাবারে অরুচি হওয়া।
৭.অনেক সময় শ্বাসকষ্ট হওয়া।
৮.বমি বমি ভাব হওয়া।
উপরোক্ত লক্ষণ গুলো দেখা দিলে সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
গর্ভাবস্থায় সর্দি জ্বর হওয়ার কারণ
গর্ভাবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় খুব সহজেই জ্বর সর্দিতে আক্রান্ত হয়। প্রথমত গর্ভাবস্থায় মহিলারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস এর কারনে জ্বর সর্দিতে আক্রান্ত হয়।এই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসজনিত কারণে যে জ্বরের সৃষ্টি হয় তা অনেক সময় গর্ভাবস্থায় মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। অনেক সময় অতিরিক্ত গরমের কারণেও ঠান্ডা বা সর্দি জ্বর হতে পারে। অনেক সময় প্রস্রাবে ইনফেকশনের ফলেও গর্ভাবস্থায় শরীরে জ্বর আসতে পারে। এছাড়া ও পেটে অতিরিক্ত গ্যাস হওয়ার কারণ ও বমি বমি ভাব বা জ্বর আসতে পারে।
গর্ভাবস্থায় জ্বর সর্দি হলে করণীয়
গর্ভাবস্থায় অনেক কারণেই জ্বর বা সর্দি করতে পারে হতে পারে। প্রথম পর্যায়ে জ্বর বা সর্দি কমানোর জন্য প্যারাসিটামল ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। জ্বর বা সর্দি যদি তিন থেকে চার দিনের বেশি শরীরে স্থায়ী থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।গর্ভাবস্থায় জ্বর বা সর্দিকে আক্রান্ত হলে গরম পানিতে গোসল করা উচিত।
গর্ভাবস্থায় সর্দি জ্বর হলে কি খাওয়া উচিত
১. মধু শরীরে জ্বর বা সর্দি কমাতে সাহায্য করে। মধু গরম পানি বা যার সাথে মিশিয়ে পান করা যায় তাহলে জ্বর বা সর্দি থেকে রিলিফ পাওয়া যায়।
২.গর্ভাবস্থায় শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভিটামিন সি যুক্ত শাকসবজি বা ফলমূল খেতে হবে।
৩.অনেক সময় প্রসাবে ইনফেকশনের ফলে জ্বর আসে তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
৪.বাইরের খাবার পরিহার করতে হবে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার পেটে গ্যাস সৃষ্টি করে আর এই গ্যাসের ফলে জ্বর আসতে পারেতে পারে।
৫.অনেক সময় শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয় তাই বিভিন্ন ধরনের তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় জ্বর সর্দি প্রতিরোধের উপায়
- সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
- জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে।
- জ্বর সর্দি সমস্যা আছে এমন লোকের কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে।