ফুসফুস ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে

Pathology Knowledge
0

 ফুসফুস ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে


বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশে ও এখন ফুসফুসের ক্যান্সারের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।আমাদের অনেকেরই এই ফুসফুস ক্যান্সার সম্পর্কে ধারণা না থাকায় বা এই ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণগুলো সম্পর্কে ধারণা না থাকার ফলে ফুসফুস ক্যান্সার লাস্ট পর্যায়ে যায়ে ধরা পড়ে যার ফলে মানুষ বেশি দিন বেঁচে থাকতে পারে না। তাই আমরা আজ জানব ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ, ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধের  উপায়, ফুসফুস ক্যান্সারের কারণ, এবং ফুসফুস ক্যান্সার হলে রোগী কতদিন বেঁচে থাকে।






আমরা আগে আর্টিকেলে আলোচনা করব ফুসফুস ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে


ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ


১.কাশির সাথে রক্তপাতঃ ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান লক্ষণ হল কাশির সাথে রক্ত যাওয়া।


২.ক্রমাগত কাশি হওয়াঃ ফুসফুস ক্যান্সারের আরো একটি লক্ষণ হল ক্রমাগত কাশি হওয়া কোনক্রমে কাশি না কমা। কাশি দীর্ঘস্থায়ী হওয়া।


৩.বুকে ব্যথাঃ ক্রমাগত মুখে অস্বস্তি বা ব্যথা হওয়া বা অনেক সময় বাহুতে বা কাঁধে ব্যথা হওয়া।


৪. শরীর অতিরিক্ত মাত্রায় দুর্বল লাগা।


৫. হঠাৎ হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হওয়া।


৬.বমি বমি ভাব হওয়া।


৭.পেট ফুলে যাওয়া বা ব্যাথা অনুভূত হওয়া।


৮.হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া।


৯.হঠাৎ করে কণ্ঠস্বর পাল্টে যাওয়া বা পরিবর্তন হওয়া।


১০.ক্ষুধা  হ্রাস পাওয়া খাবার খাওয়ার সময় গিলতে অসুবিধা হওয়া।


ফুসফুস ক্যান্সারের কারণ


১.ধূমপান করাঃ অতিরিক্ত মাত্রায় ধূমপান করা বা  ধূমপানের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।


২.পারিবারিক ইতিহাসঃ একই পরিবারের আগে কেউ ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকলে পরবর্তীতে পরের প্রজন্মের ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।


৩.অনেক সময় অতিরিক্ত রেডিয়েশনের কারণে ও আপনার ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।


৪. কিছু কিছু পদার্থ যেমনঃ আর্সেনিক, নিকেল, ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়াম, ইউরেনিয়াম এর কারণ ও ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


৫.অতিরিক্ত বায়ু দূষণের ফলেও ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্তের সম্ভাবনা থাকে।


৬.অনেক সময় বিকিরণ থেরাপি বা কেমোথেরাপির কারণেও ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।



উপরোক্ত সমস্যাগুলি দেখা দিলে অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত এবং শরীরের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা উচিত যে আপনি ফুসফুস ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছেন কিনা।


ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধের  উপায়


কিছু কিছু নিয়ম মেনে চললে ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।


  • পুষ্টিগুণ সম্পন্ন শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া।

  • অতিরিক্ত ভাজাপড়া বা ভারি মসলা যাতে ও খাবার পরিহার করা।

  • কার্তিনোজেনিক বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের সংস্পর্শ বা ধোয়ার সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা।

  • ধূমপান পরিহার করা।

  • নিয়মিত শরীর চর্চা করা ব্যায়াম করা।


উপরোক্ত বিষয়গুলি যদি আমরা মেনে চলি তাহলে আমরা ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারব এবং এই ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে আমরা বাঁচতে পারব।



ফুসফুস ক্যান্সার হলে রোগী কতদিন বেঁচে


সাধারণত ফুসফুস ক্যান্সার প্রথম পর্যায়ে ধরা পড়লে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিন্তু যদি ফুসফুস ক্যান্সার লাস্ট পর্যায়ে যে ধরা পড়ে তাহলে রোগী সর্বোচ্চ পাঁচ বছর বেঁচে থাকতে পারে। সঠিক চিকিৎসা ও সঠিক নিয়ম কানুন মেনে চললে ফুসফুস ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।




সর্বোপরি ফুসফুস ক্যান্সার কে মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগ যা আমাদের শরীরে ঢুকে ইউমুনো সিস্টেমকে শেষ করে দেয় এবং মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়।



Tags:

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)