লিভারে চর্বি জমলে কি কি সমস্যা হয়

Pathology Knowledge
0

লিভারে চর্বি জমলে কি কি সমস্যা হয়


বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।মূলত অনিয়মিত জীবনযাপন ও অস্বাস্তকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে মানুষ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই ফ্যাটি লিভার বা লিভারের চর্বি হওয়া সম্পর্কে জানিনা যে লিভারে চর্বি হওয়ার কারণ কি বা কোন কোন খাবার খেলে লিভারে চর্বি হয়। ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ গুলো কি কি।






আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করব লিভারে চর্বি জমলে কি কি সমস্যা হয়


লিভারে চর্বি বা ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ


লিভারে চর্বি জমাকে আমরা ডাক্তারি ভাষায় বলি ফ্যাটি লিভার বলা হয় । লিভারে চর্বি জমলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। নিচে লিভারে চর্বি জমলে কি কি সমস্যা দেখা দেয় বা কি কি লক্ষণ দেখা দেয় তা আলোচনা করা হলো।


১.পেট ফাঁপা বা ফুলে যাওয়া।


২.অনেক সময় বুকে ব্যথা হওয়া।


৩.শরীরের বিভিন্ন স্থানে চুলকানি দেখা দেওয়া।


৪.স্বাভাবিকের তুলনায় প্রসাব হলুদ হওয়া ।


৫.খাওয়ায় অরুচি হওয়া।


৬. শরীরের দুর্বল ভাব লাগা।


৭.অনেক সময় শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়া।


উপরোক্ত লক্ষণগুলো দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। এবং  পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার মাধ্যমে রোগ সনাক্ত করে দ্রুত চিকিৎসা করা উচিত।


 ফ্যাটি লিভারের কারণ


ফ্যাটি লিভার বা লিভারে চর্বি সেই সমস্ত লোকের হয় যারা অনিয়মিত জীবনযাপন করে বা অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করে।এছাড়াও অতিরিক্ত অ্যালকোহল জাতীয় খাবার বা পানীয় গ্রহণের মাধ্যমেও লিভারে চর্বি জমতে পারে বা ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ ও অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণেও লিভারে চর্বি জমতে পারে।


লিভারের চর্বি কমানোর উপায়


কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললেই লিভারে চর্বি কমানো যায়।


১.পুষ্টিগুণ সম্পন্ন শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া।


২.ওমেগা থ্রি যুক্ত মাছ খাওয়া।


৩.গ্রিন টি লিভারের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।


৪.চিনি যুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা ।


৫.চর্বিবিহীন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।


৬. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ।


৭.রুটিন অনুযায়ী শরীর চর্চা বা ব্যায়াম করা।


উপরোক্ত কাজগুলো যদি আমরা ঘরে বসেই নিয়ম অনুযায়ী করি তাহলে লিভারের চর্বি কমাতে পারি বা ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়া থেকে বিরত থাকতে পারি।


লিভারের চর্বি হলে কি খাওয়া উচিত না 


১.অ্যালকোহল জাতীয় খাবার বা পানীয় থেকে বিরত থাকা।


২.অতিরিক্ত মসলা জাতীয় বা ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকা।


৩.চিনি জাতীয় খাবার না খাওয়া ।


৪.শর্করা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা।


৫.চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা।


ফ্যাটি লিভার কি ভাল হয়


হ্যাঁ, ফ্যাটি লিভার ভালো হয়।  নিয়মিত শরীর চর্চা বা খাদ্য অভ্যাসের পরিবর্তন বা সঠিক চিকিৎসার  মাধ্যমে ফ্যাটি লিভার ভালো করা যেতে পারে।



সর্বোপরি ফ্যাটি লিভার কেন হয় বা লক্ষণগুলো জানা থাকলে বা ফ্যাসিলিভার কি সমস্যা হতে পারে সেই সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকলেই আমরা সঠিক চিকিৎসা করতে পারি বা সতর্ক হতে পারি।

Tags:

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)