সিরাম ইলেক্ট্রোলাইট পরীক্ষা খরচ

Pathology Knowledge
0

 সিরাম ইলেক্ট্রোলাইট পরীক্ষা খরচ


আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থের উপস্থিতি থাকে। এই খনিজ পদার্থ গুলো শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে। কিন্তু যখনই  এই খনিজ পদার্থের ভারসাম্যহীনতা ঘটে তখনই শরীরের দুর্বলতা দেখা দেয়।এই খনিজ পদার্থ গুলোকেই মূলত ইলেকট্রোলাইট বলা হয়।কিন্তু আমরা অনেকেই  সিরাম ইলেকট্রোলাইট টেস্ট সম্পর্কে জানিনা। তাই আমরা আজ এই পোষ্টের মাধ্যমে সিরাম ইলেকট্রোলাইট টেস্ট কি, সিরাম ইলেকট্রোলাইট টেস্ট কেন করা হয় ,ইলেকট্রোলাইট  বেড়ে গেলে কি হয় বা ইলেকট্রোলাইট কমে গেলে কি হয় এবং সিয়াম ইলেকট্রোলাইট টেস্ট খরচ সম্পর্কে জানব।






আমরা আজ এই আর্টিকেলে আলোচনা করব সিরাম ইলেক্ট্রোলাইট পরীক্ষা খরচ



সিরাম ইলেকট্রোলাইট টেস্ট কি



সিরাম ইলেকট্রোলাইট টেস্ট মূলত একটি রক্তের পরীক্ষা। যার মাধ্যমে শরীরে উপস্থিত থাকা বিভিন্ন খনিজ পদার্থগুলো পরিমাপ করে দেখা হয়।মূলত খনিজ পদার্থ গুলোর ভারসাম্য হীনতার কারণেই ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষা করা হয়।



ইলেকট্রোলাইট টেস্ট কেন করা হয়


বিভিন্ন সমস্যার জন্য বা কারণে চিকিৎসক ইলেক্ট্রোলাইট করার উপদেশ দেন।


১.শরীরে অনেক দুর্বলতা বা ক্লান্তি অনুভব করলে চিকিৎসক ইলেকট্রোলাইট টেস্ট করার উপদেশ দেন।


২.স্ট্রোক বা হৃদস্পন্দন বেড়ে গেলে চিকিৎসক ইলেক্ট্রোলাইট পরীক্ষা করতে দেন।


৩. শরীরে যদি পানি শূন্যতার অভাব দেখা দেয় বা ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দেয় তাহলেও চিকিৎসক ইলেক্ট্রোলাইট টেস্ট করতে দেন ।


৪.শরীরে যদি কিডনির সমস্যা বা হার্টের সমস্যা থাকে তাহলেও শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসামহীনতা দেখা দিতে পারে তার জন্য চিকিৎসক ইলেকট্রোলাইট  টেস্ট করতে দেন।


৫.অনেক সময় কিছু দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমনঃ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে চিকিৎসক ইলেক্টোলাইট টেস্ট করার উপদেশ দেন।


৬.এছাড়াও শরীরে খনিজ পদার্থের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিলে  চিকিৎসক ইলেকট্রোলাইট টেস্ট করার উপদেশ দেন।


৭.শরীরে খিচুনির সমস্যা দেখা দিলেও চিকিৎসক ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষা বা টেস্ট করতে দেন ।



ইলেকট্রোলাইট বেড়ে বা কমে গেলে কি হয়


১.শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয় ।


২.শরীরে দুর্বলতা বা ক্লান্তি অনুভূত হয়।


৩.শরীরে খিঁচুনি দেখা দেয়।


৫.স্ট্রোক বা হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়।


৬.বমি বমি ভাব বা মাথা করার সমস্যা দেখা দেয়।


৭.অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয় ।




সিরাম ইলেক্ট্রোলাইট পরীক্ষা খরচ



ইলেকট্রোলাইট টেস্টের ভিতরে মূলত আমরা সোডিয়াম পটাশিয়াম ক্লোরাইড বাই কার্বনেট টেস্ট করা হয়।বর্তমানে বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষা করার জন্য ১৩০০ টাকা খরচ করতে হয়।এবং সরকারি সব প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষা করার জন্য ২৫০ টাকা খরচ করতে হয়।




ইলেকট্রোলাইট বেড়ে বা কমে গেলে করণীয়



বর্তমানে অতিরিক্ত গরমের কারণে অনেকে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের পরিমাণ কমে যাচ্ছে।এ সময় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত এবং যত সম্ভব চিনি যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। এবং বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস বা শরবত পান করা উচিত। যা শরীরে ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে।





সর্বোপরি ইলেকট্রোলাইট আমাদের শরীরে জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই  আমাদের শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে হবে।আমাদের আজকের পোস্ট পড়ার মাধ্যমে ইলেকট্রোলাইট সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে পারবে।।
Tags:

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)