ইউরিক এসিডের এলোপ্যাথিক ঔষধ

Pathology Knowledge
0

 ইউরিক এসিডের এলোপ্যাথিক ঔষধ


বর্তমানে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা যেমনঃ পায়ে ব্যথা, হাটুতে ব্যথা,কোমরে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা,ও হাতে ব্যথা নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই জানেন না এই ব্যাথার উৎস মূলত শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বাড়তি থাকা। যখনই শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তখনই মানুষের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথার সৃষ্টি হয়।আমরা যদি জানতে পারি ইউরিক অ্যাসিড কি, ইউরিক অ্যাসিড কেন হয়, ইউরিক এসিডের লক্ষণ, কোন খাবারে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বাড়ে বা ইউরিক এসিডের অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ কোনটি তাহলে আমরা সহজেই শরীরের ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি।






আমরা আজ এই আর্টিকেল আলোচনা করব ইউরিক এসিডের এলোপ্যাথিক ঔষধ


ইউরিক এসিড কি


ইউরিক অ্যাসিড হল এক ধরনের বজ্র পদার্থ। যা পিউরিন নিওক্লিওটাইডের বিপাকের ভাঙ্গনের ফলে  তৈরি হয়।যা প্রথমে কিডনিতে যাই পরে প্রস্রাবের সাথে শরীর থেকে বের হয়ে যায়। এটি প্রস্রাবের একটি সাধারণ উপাদান।



ইউরিক এসিড বেড়ে যাওয়ার কারণ


১.ইউরিক এসিড বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো পিউরিন। মূলত পিউরিন ভাঙ্গনের ফলেই ইউরিক এসিড বৃদ্ধি পায়।


২.অতিরিক্ত প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ।


৩.অতিরিক্ত অ্যালকোহল জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।


৪.কিডনিতে সমস্যা থাকার ফলে ইউরিক এসিড বৃদ্ধি পায়। কারণ কিডনিতে সমস্যা থাকলে কিডনি সঠিকভাবে বজ্র পদার্থ ফিল্টার করতে পারে না ফলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।



ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ

১.শরীরের বিভিন্ন স্থানে যেমনঃপায়ের হাটুতে, কোমরে, ঘাড়ে ও হাতে ব্যথা সৃষ্টি হয়।


২.শরীরের বিভিন্ন স্থান ফুলে যাওয়া।


৩..ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ হওয়া।


৪.প্রসাবে ইনফেকশন হওয়া।


৫.অনেক সময় প্রসাবের সাথে রক্ত যাওয়া।


উপরোক্ত লক্ষণ গুলি দেখা দিলে আপনার ইউরিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত ।


যেসব খাবারে ইউরিক এসিড বৃদ্ধি পায়






১.অতিরিক্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।


২.পালং শাক পুঁই শাক মসুর ডাল তা থেকে বিরত থাকতে হবে।


৩.লাল মাংস, মাংসের কলিজা এবং কিছু সামুদ্রিক মাছ ছাড়া থেকে বিরত থাকতে হবে।


৪.অতিরিক্ত পরিমাণে ডিম দুধ খাওয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে।


৫.আচার চানাচুর প্রজ্জুস বা কোকোকোলা জাতীয় পানীয় এবং তিনি যুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।



যে খাবার ইউরিক এসিডের পরিমাণ কমায়


১.ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ইউরিক এসিডের পরিমাণ কমে  ।


২.ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ কমে।


৩.আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার মাধ্যমেও ইউরিক এসিডের পরিমাণ কমে।




ইউরিক এসিডের এলোপ্যাথিক ঔষধ


ইউরিক অ্যাসিড এসিড কমানোর জন্য চিকিৎসক ফেবুট্যাক্স ৪০ এম জি একটি ট্যাবলেট দিয়ে থাকেন।যা শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে ।অতিরিক্ত ইউরিক এসিড বৃদ্ধি পেলে কিডনি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।




সর্বোপরি কিছু খাদ্য খাবার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেই আমরা আমাদের শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রায় রাখতে পারি এবং নিজেরাও সুস্থ থাকতে পারি।

Tags:

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)