হেমোরেজিক স্ট্রোক কতদিন লাগবে ভালো হতে

Pathology Knowledge
0

 হেমোরেজিক স্ট্রোক কতদিন লাগবে ভালো হতে


বর্তমানে বাংলাদেশে স্ট্রোকের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে।এর ভিতরে হেমোরেজিক স্ট্রোক বা ইসকেমিক স্ট্রোকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ।কিন্তু আমরা অনেকেই এই হেমোরেজিক বা ইসকেমিক স্ট্রোক সম্পর্কে জানিনা। তাই আমরা আজ এই পোষ্টের মাধ্যমে হেমোরেজিক স্ট্রোক কি, হেমোরেজিক স্টোকের কারণ, হেমোরেজিক স্টোকের লক্ষণ, হেমোরেজিক স্টোকের প্রতিকার এবং হেমোরেজিক স্ট্রোকে ভালো হতে কতদিন সময় লাগে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।






আমরা আজ এই আর্টিকেলে আলোচনা করব হেমোরেজিক স্ট্রোক কতদিন লাগবে ভালো হতে



হেমোরেজিক স্ট্রোক কি


হেমোরেজিক স্ট্রোক হল মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ হওয়া ।কোন কারনে যদি মস্তিষ্কের রক্তনালী ফেটে যেয়ে বা চিরে যেয়ে রক্তক্ষরণ হয়  তখনই হেমোরেজিক স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দেয়।


 হেমোরেজিক স্ট্রোকের কারণ 


১. উচ্চ রক্তচাপঃ উচ্চ রক্তচাপ হেমোরেজিক স্টোকের প্রধান কারণ। উচ্চ রক্তচাপের কারণে মস্তিষ্কের রক্তনালীর রক্ত সরবরাহের উপর চাপ সৃষ্টি করে যার ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।


২. অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসঃ শরীরে ডায়াবেটিসের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে হেমোরেজিক স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।


৩.উচ্চ কোলেস্টেরলঃ কোলেস্টেরল এর মাত্রা বৃদ্ধির কারণে বা শরীরে বেশি থাকলে রক্তনালীগুলো সঠিকভাবে রক্ত সরবরাহ করতে পারে না এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণেই রক্তনালীগুলো বন্ধ হয়ে যায় ফলে রক্তনালীগুলো ফেটে যায়। যার ফলে  হেমোরেজিক স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।


৪.অতিরিক্ত ধূমপানঃ অতিরিক্ত ধূমপানের কারণেও স্টোকের ঝুঁকি বাড়ে।


৫.অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা মানসিক টেনশন, হতাশা, ডিপ্রেশন শরীরে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।


৬.ওজন বৃদ্ধিঃঅতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির কারণে শরীরে রক্তনালী গুলো সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন করতে পারে না যার ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।


৭.বংশগতভাবে পরিবারের আগে কেউ স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে পরবর্তীতে স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে।


৮.অনিয়ন্ত্রিত খাবার খাওয়ার মাধ্যমেও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে। যেমনঃ অতিরিক্ত মদ্যপান, অতিরিক্ত অ্যালকোহল জাতীয় খাবার এবং অতিরিক্ত ফাস্টফুড বা ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে স্টোকের ঝুঁকি বাড়ে।


৯.অতিরিক্ত অলস জীবন-যাপন ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।


১০.অতিরিক্ত শ্বাসকষ্টের সমস্যা জনিত কারণে ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে।


হেমোরেজিক স্ট্রোকের লক্ষণ 

স্ট্রোক হলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দেয় নিচে লক্ষণ গুলো দেওয়া হল।






১.হেমোরেজিক স্ট্রোকের প্রধান লক্ষণ হল অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।

২.শরীরের যে কোন এক পাশ অবশ বা অসাড় হয়ে যাওয়া।

৩.বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৪.হঠাৎই হাঁটার সময় ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা।

৫.কথা বলার সময় হঠাৎ এই কথা বেঁধে যাওয়া বা জড়িয়ে যাওয়া।

৬.হঠাৎ তীব্র মাথা ব্যথা হওয়া।

৭.মুখের এক পাশ বাঁকা হয়ে যাওয়া বা চোখ ছোট হয়ে যাওয়া ।


উপরোক্ত লক্ষণগুলো দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।কারণ যথাসময়ে চিকিৎসা না নিলে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায় ।



হেমোরেজিক স্ট্রোক কতদিন লাগবে ভালো হতে


স্টক মূলত মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের মাধ্যমে হয়ে থাকে যার ফলে রোগীকে সর্বপ্রথম নিয়ে যাওয়া হয় পরবর্তীতে কিছু ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়।যেহেতু মস্তিষ্ক শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। যার মাধ্যমে শরীরে প্রত্যেকটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কাজ করে। মস্তিষ্কের ভিতরে এক একটি পাঠ শরীরের এক একটি অংশের জন্য কাজ করে। তাই মস্তিষ্কের  কোন অংশে রক্তক্ষরণ হয়েছে বা কতটুকু জায়গা নিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে তার উপর নির্ভর করে রোগীর কতদিন লাগবে ভালো হতে।




হেমোরেজিক স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায়



১.শরীরে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা।

২.শরীরে ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা।

৩.শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা।

৪.অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার পরিহার করা।

৫.ধূমপান পরিহার করা।

৬.মদ্যপান থেকে বিরত থাকা।

৭.অতিরিক্ত অ্যালকোহল জাতীয় খাবার বা পাসপোর্ট জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা।

৮.বেশি করে সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া।

৯.অতিরিক্ত টেনশন বা দুশ্চিন্তা পরিহার করা।

১০.প্রতিদিন শারীরিক চর্চা বা ব্যায়াম করা।




নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা, খুলনা


স্ট্রোক হলে আমাদের নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের প্রয়োজন হয় তাই নিচে খুলনার কিছু নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর তালিকা দেওয়া হল।


 
সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মোহসীন আলী ফরাজী
এমবিবিএস, বিসিএস, এমএস (নিউরোসার্জারি), বিভাগীয় প্রধান (নিউরো সার্জারি) ব্রেইন ও স্পাইন সার্জন -খুলনা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাস্পাতাল,খুলনা।

Associate Professor Dr. Mohsin Ali Farazi
MBBS, BCS, MS (Neurosurgery), Head (Neurosurgery) Brain & Spine Surgeon - Khulna Medical College & Hospital, Khulna.


ডাক্তারের চেম্বার

  • গাজী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল, খুলনা।


ডাক্তারের পরামর্শ ফি


নতুন রোগী ১০০০ টাকা ।

পুরাতন রোগী ৮০০ টাকা।


ডাঃ মোঃ রিয়াজ আহমেদ হাওলাদার
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমএস (নিউরোসার্জারি), ব্রেইন, নার্ভ, স্ট্রোক ও মেরুদণ্ড সার্জারি বিশেষজ্ঞ ও নিউরো সার্জন, মেম্বার, ইউরোপিয়ান এ্যাসোসিয়েশন অব নিউরোসার্জিক্যাল সোসাইটি - খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা।

Dr. Md. Riaz Ahmed Howlader
MBBS, BCS (Health), MS (Neurosurgery), Brain, Nerve, Stroke & Spine Surgery Specialist & Neurosurgeon, Member, European Association of Neurosurgical Societies - Khulna Medical College Hospital, Khulna.


ডাক্তারের চেম্বার

  • আস্থা ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার, খুলনা।

ডাক্তারের পরামর্শ ফি


নতুন রোগী ৮০০ টাকা ।

পুরাতন রোগী ৬০০ টাকা।


ডাঃ মোঃ সাইদুর রহমান শেখ 
এমবিবিএস, এমডি (নিউরো-মেডিসিন), ব্রেন ও নার্ভ (স্নায়ুরোগ) বিশেষজ্ঞ-শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, খুলনা।
স্নায়ু রোগ-নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ

Dr. Saidur Rahman Sheikh
MBBS, MD (Neuro-Medicine), Brain & Nerve (Neurology) Specialist-Shaheed Sheikh Abu Naser Specialty Hospital, Khulna.
Neurologist - Neurologist


ডাক্তারের চেম্বার

  • মহানগর ডায়াগনস্টিক সেন্টার, খুলনা।

ডাক্তারের পরামর্শ ফি


নতুন রোগী ৬০০ টাকা ।

পুরাতন রোগী ৫০০ টাকা


সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ বিপ্লব কুমার দাস 
এমবিবিএস, বিসিএস, এমডি (নিউরোলজি), বিএসএমএমইউ (এক্স-পিজি হাসপাতাল), সহযোগী অধ্যাপক (নিউরোলজি বিভাগ) -খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা।

Associate Professor Dr. Biplab Kumar Das
MBBS, BCS, MD (Neurology), BSMMU (Ex-PG Hospital), Associate Professor (Department of Neurology) -Khulna Medical College Hospital, Khulna.


ডাক্তারের চেম্বার

  • ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক লিঃ, খুলনা।

ডাক্তারের পরামর্শ ফি


নতুন রোগী ১০০০ টাকা ।

পুরাতন রোগী ৮০০ টাকা


ডাঃ আবদুল হালিম সরদার
এমবিবিএস, এমডি, স্নায়ুবিজ্ঞান (বিএসএমইউ)
সহকারী অধ্যাপক (স্নায়ুবিজ্ঞান)
শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, খুলনা।

Dr. Abdul Halim Sardar
MBBS, MD, Neuroscience (BSMU)
Assistant Professor (Neurology)
Shaheed Sheikh Abu Naser Specialized Hospital, Khulna.


ডাক্তারের চেম্বার

  • খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা।

ডাক্তারের পরামর্শ ফি


নতুন রোগী ১০০০ টাকা ।

পুরাতন রোগী ৮০০ টাকা


ডাঃ তড়িৎ কান্তি ঘোষ 
এমবিবিএস (ঢাকা), বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমএসসি, ইন্টারনাল মেডিসিন ও নিউরোলজি (ইংল্যান্ড), ফেলো, ক্লিনিক্যাল নিউরোলজি, ইউসিএল (ইউ কে), স্পেশালিষ্ট, ক্লিনিক্যাল রিসার্চ ইন নিউরোসায়েন্স, মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটি (অস্ট্রেলিয়া), সদস্য, আমেরিকা একাডেমী অব নিউরোলজি (ইউএসএ), কনসাল্টেন্ট (নিউরোলজী) - খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা।
স্নায়ু রোগ-নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ

Dr. Tarit Kanti Ghosh
MBBS (Dhaka), BCS (Health), MSc, Internal Medicine & Neurology (England), Fellow, Clinical Neurology, UCL (UK), Specialist, Clinical Research in Neuroscience, Melbourne University (Australia), Member, American Academy of Neurology (USA), Consultant (Neurology) - Khulna Medical College Hospital, Khulna.
Neurologist - Neurologist


ডাক্তারের চেম্বার

  • টপ চয়েজ ডায়াগনস্টিক সেন্টার,খুলনা।

ডাক্তারের পরামর্শ ফি


নতুন রোগী ১০০০ টাকা ।

পুরাতন রোগী ৮০০ টাকা


ডাঃ মোঃ ইব্রাহিম খলিল 
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফসিপিএস (সার্জারি), এমএস (নিউরো-সার্জারি), কনসালটেন্ট ও বিভাগীয় প্রধান (নিউরো সার্জারী বিভাগ) শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, খুলনা।
নিউরো সার্জন

Dr. Md. Ibrahim Khalil
MBBS, BCS (Health), FCPS (Surgery), MS (Neuro-Surgery), Consultant & Head (Department of Neurosurgery) Shaheed Sheikh Abu Naser Specialty Hospital, Khulna.
Neurosurgeon


ডাক্তারের চেম্বার

  • গাজী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল, খুলনা।


ডাক্তারের পরামর্শ ফি


নতুন রোগী ১০০০ টাকা ।

পুরাতন রোগী ৮০০ টাকা।


ডাঃ কমলেশ সাহা 
এমবিবিএস (ঢাকা), বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমএস (নিউরো সার্জারি), ব্রেইন ও স্পাইন বিশেষজ্ঞ - খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা
নিউরো সার্জন, স্নায়ু রোগ-নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ

Dr. Kamlesh Saha
MBBS (Dhaka), BCS (Health), MS (Neuro Surgery), Brain & Spine Specialist - Khulna Medical College Hospital, Khulna
Neurosurgeon, specialist in neurology


ডাক্তারের চেম্বার

  • আস্থা ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার, খুলনা।

  • টপ চয়েজ ডায়াগনস্টিক সেন্টার,খুলনা।


ডাক্তারের পরামর্শ ফি


নতুন রোগী ৮০০ টাকা ।

পুরাতন রোগী ৬০০ টাকা।




সর্বোপরি অনিয়ন্তিত জীবন যাপনের মাধ্যমে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। তাই আমাদের নিয়ম মেনে জীবন যাপন করা উচিত এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করা উচিত।
Tags:

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)