মাসিকের সময় আয়রন ট্যাবলেট
বাংলাদেশের অধিকাংশ নারী রক্তস্বল্পতায় ভুগে থাকেন। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো আয়রনের ঘাটতি। আয়রনের ঘাটতির ফলেই মূলত রক্তস্বল্পতা আবার রক্তশূন্যতা দেখা যায়। এছাড়াও মেয়েদের মাসিক বা ঋতুচক্র চলাকালীন মেয়েদের শরীরে রক্তশূন্যতার পরিমান বেড়ে যায়।মাসিকের সময় মেয়েদের শরীরে নানা ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হয়।তাই আমরা আজ এই পোষ্টের মাধ্যমে মাসিকের সময় আয়রন ট্যাবলেটের খাওয়ার উপকারিতা, মাসিকের সময় পেটে ব্যথার কারণ এবং মাসিকের সময় পেটে ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানব।
আমরা আজ এই আর্টিকেলে আলোচনা করব মাসিকের সময় আয়রন ট্যাবলেট
মাসিকের সময় পেটে ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
১.মাসিকের সময় তলপেটে গরম পানি সেঁক দিলে উপকার পাওয়া যায়।
২.মাসিকের সময় আদার রস খুব উপকারী। কারণ আদার রস ব্যথা কমাতে সাহায্য করে ।
৩.মাসিকের সময় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। কারণ এ সময়ে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। যার ফলে শরীর দুর্বল লাগে বা তলপেটে ব্যথার সৃষ্টি হয়।
৪.মাসিকের সময় পেঁপে খাওয়া উত্তম।কারণ মাসিকের সময় পেঁপে খাওয়ার ফলে তলপেটে ব্যথা কম হয়।
৫.মাসিকের সময় এলোভেরার জুস বা রস খেলে ব্যথা কম হয়।
৬.মাসিকের সময় যদি ব্যায়াম করা হয় তাহলে ব্যথা কম হতে পারে।
৭.মাসিকের সময় ল্যাভেন্ডার অয়েল বা নারকেল তেল তলপেটে মেসেজ বা মালিশ করলে ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৮ কলা মাসিকের সময় ব্যথা হলে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় মেয়েদের শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।এ সময় আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া খুবই জরুরী।
১.আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে ক্লান্ত ভাব দূর হয়।
২.আয়রনের ঘাটতি জনিত কারণে জন্মের সময় মা ও শিশুর মৃত্যু ঝুঁকি বেশি থাকে তাই গর্ভাবস্থায় আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৩.আয়রনের অভাবে অনেক সময় গর্ভের শিশুর শারীরিক গঠন বা মেধাবিকাশের ঘাটতি দেখা দেয়। এজন্য গর্ভাবস্থায় আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া খুবই জরুরী।
৪.অনেক সময় শিশু রক্তশূন্যতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে এর জন্য শিশু গর্বে থাকাকালীন আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া জরুরী।
৫.আয়রনের ঘাটতির কারণে অনেক সময় গর্ভাবস্থায় শিশুর বৃদ্ধি কম ঘটে। তথন শিশু কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। তাই গর্ব অবস্থায় আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া খুবই জরুরী।
গর্ভাবস্থায় আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের পর থেকে এবং বাচ্চা ডেলিভারির পরবর্তী তিন মাস পর্যন্ত আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া উচিত।গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন ৬০ মিলিগ্রাম আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া উচিত।
সর্বোপরি আইরন ট্যাবলেট আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটি আমাদের শরীরে রক্তশূন্যতা হওয়া থেকে মুক্ত রাখে । যার কারণে আমরা নানা ধরনের জটিলতা থেকে মুক্তি পেয়ে থাকি।