মাইটোকন্ড্রিয়া কে কোষের পাওয়ার হাউস বলা হয় কেন
আমাদের বেঁচে থাকার জন্য শরীরে শক্তির প্রয়োজন। এই শক্তির প্রধান উৎস হল মাইটোকন্ড্রিয়া। তাই আমরা আজ এই পোষ্টের মাধ্যমে মাইটোকন্ড্রিয়া কি, মাইটোকন্ড্রিয়ার গঠন ও কাজ, মাইট্রোকন্ড্রিয়ার গুরুত্ব এবং মাইটোকন্ডিয়া কে কোষের পাওয়ার হাউজ বলা হয় কেন সে সম্পর্কে জানব।
আমরা আজ এই আর্টিকেলে আলোচনা করব মাইটোকন্ড্রিয়া কে কোষের পাওয়ার হাউস বলা হয় কেন
মাইটোকন্ড্রিয়া কি
প্রাণীদেহের কোষে এবার প্রদীপ উদ্ভিদ কোষের সাইটোপ্লাজমে যে দানাদার অঙ্গানু গুলো ছড়িয়ে থাকে তাকে মূলত মাইক্রোকন্ডিয়া বলে।শরীরে শক্তির উৎস হিসেবে মাইটোকনডিয়ার অপরিসীম।
মাইট্রোকন্ডিয়ার গঠন
১.আবরণী বা ঝিল্লি:মাইট্রোকনড্রিয়া বহিঃস্থ ঝিল্লি ও অন্তস্থ ঝিল্লি নামক দুইটা ঝিল্লি দ্বারা আবৃত থাকে।
২.ম্যাট্রিক্স
৩.রাইবোজোম
৪.ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম
৫.ক্রিস্টি
৬.ডিএনএ(DNA)
মাইট্রোকনড্রিয়ার কাজ
১.শরীরের কোষের ভিতরে সব ধরনের শক্তি উৎপন্ন করে তা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে।
২.মাইটোকন্ড্রিয়া এনজাইম ও কো-এনজাইম ধারণ করে। যা শোষণ প্রক্রিয়ায় ভূমিকা পালন করে।
৩.মাইটোকন্ড্রিয়া ডিএনএ(DNA) ও আর এন এ(RNA ) গঠন করে যা বংশগতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
৪.মাইট্রোকনড্রিয়া শরীরে প্রোটিন সংশ্লেষণ করে।
৫.মাইটোকন্ডিয়া ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম পরিবহন করে যা ডিম্বাণু ও শুক্রাণু গঠনে সাহায্য করে।
৬.শরীরে কোষে ক্যালসিয়ামের ঘনত্ব সঠিকভাবে বজায় রাখে ।
৭.মাইটোকন্ডিয়া শরীরের রক্ত কণিকা ও হরমোন তৈরি করতে সাহায্য করে।
৮.মাইট্রোকন্ডিয়া কোষ বিভাজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মাইটোকন্ড্রিয়ার গুরুত্ব
প্রাণীদেহের কোষে মাইটোকন্ড্রিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ প্রাণীদেহের কোষের সকল ধরনের জৈবনিক কাজ সম্পন্ন করতে হলে শক্তির প্রয়োজন।সেই শক্তির একমাত্র উৎস হল মাইটোকন্ড্রিয়া ।
মাইটোকন্ড্রিয়া কে কোষের পাওয়ার হাউস বলা হয় কেন
কোষের সকল ধরনের কাজের জন্য যে শক্তির প্রয়োজন হয়। সেই শক্তি মাইটোকন্ড্রিয়ায় উৎপন্ন হয় এবং মাইটোকনড্রিয়া তার সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের পাওয়ার হাউজ বলা হয়।
সর্বোপরি মাইটোকন্ডিয়া প্রাণীদেহের কোষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কোষের সঠিক ক্রিয়া বিক্রিয়ার জন্য শক্তির প্রয়োজন। আর সেই শক্তির উৎস হলো মাইটোকন্ড্রিয়া । তাই আমরা যে পোস্টের মাধ্যমেই মাইটোকন্ড্রিয়া সম্পর্কে কিছু তথ্য উপরে তুলে ধরলাম।