Ana test কেন করা হয়
আমাদের শরীরে কোষের মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টিবডি যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে বা ইমিউন সিস্টেমকে সচল রাখে। কিন্তু অনেক সময় এই ইমিউন সিস্টেম ভুলবশত ভুল এন্টিবডি তৈরি করে। যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
এই এন্টিবডি সঠিক পরিমাণে কোষে উপস্থিত আছে কিনা তার জন্য Ana নামক একটি টেস্ট করা হয়। তাই আমাদের আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন Ana test কি, Ana test কেন করা হয়, Ana পজেটিভ হলে কি হয়,Ana নেগেটিভ হলে কি হয়, Ana রক্ত পরীক্ষার ফলাফল পেতে কত দিন সময় লাগে, Ana test নরমাল রেঞ্জ এবং Ana টেস্ট খরচ কত বাংলাদেশ সম্পর্কে।
আমরা আজ এই আর্টিকেল আলোচনা করব Ana test কেন করা হয়
Ana test কি
Ana test কেন করা হয়
বিভিন্ন কারণে চিকিৎসক Ana test করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
১.শরীরে তৈরি হওয়া দীর্ঘস্থায়ী অটোইমিউন রোগ যেমন- সিস্টেমিক লুপাস এরিথেমাটোসাস রোগ নির্ণয় করার জন্য Ana test করা হয়।
২.অটোইমিউন ডিসঅর্ডার রোগ নির্ণয় করার জন্য Ana test করা হয়।
৩.রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এর সমস্যা থাকলে Ana test করা হয়।
৪.এছাড়াও কিডনিতে সমস্যা, জয়েন্টে সমস্যা, মস্তিষ্কের সমস্যা চিকিৎসক Ana test করার পরামর্শ দেন।
৫.এছাড়াও কোষে সঠিকভাবে এন্টিবডি তৈরি হচ্ছে কিনা তার জন্য Ana test করা হয়।
Ana পজেটিভ হলে কি হয়
Ana পজেটিভ হলে শরীরে অটোইমিউন সিস্টেমকে আক্রমণ করে। যার ফলে শরীরের যে কোন অঙ্গ বা টিস্যু নষ্ট হতে শুরু করে।এছাড়াও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। যার ফলে বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগের সৃষ্টি হয়।
Ana নেগেটিভ হলে কি হয়
এন এ নেগেটিভ হলে শরীরে অটোইমিউন ডিসঅর্ডার হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। যার ফলে শরীরের কোষে এন্টি নিউক্লিয়ার এন্টিবডির উপস্থিতি কম থাকে।
Ana রক্ত পরীক্ষার ফলাফল পেতে কত দিন সময় লাগে
এনে টেস্ট করতে অটোমেটিক মেশিনে এক ঘন্টা সময় লাগে। তবে এই টেস্ট এলাইজা মেথডে করা যায় আর এই মেথডে এই টেস্ট টি করতে দুই থেকে তিন ঘন্টা সময় লাগে। তাই এই টেস্টের রিপোর্ট হাতে পেতে একদিন সময় লাগে।
Ana test নরমাল রেঞ্জ
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে ANA নরমাল রেঞ্জঃ <1:40 বা Up to 10 %.
Ana টেস্ট খরচ কত বাংলাদেশ
Ana টেস্ট করাতে যেকোনো বেসরকারি ডায়াগনস্টিক বা হাসপাতালে ১৫০০ -২০০০ টাকা খরচ হতে পারে।
সর্বোপরি Ana টেস্ট করানো আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ Ana টেস্টের মাধ্যমে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পর্কে জানা যায়। যার ফলে আমাদের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব এবং তো থাকা সম্ভব।