এ এম এইচ হরমোন কম হলে করণীয়

Pathology Knowledge
0

এ এম এইচ হরমোন কম হলে করণীয়


মহিলাদের গর্ভধারণের জন্য ডিম্বাশয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ডিম্বাশয়ের মধ্যে ডিমের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে গর্ভধারণ।এই ডিমের পরিমাণ সঠিকভাবে জানার জন্য চিকিৎসক এ এম এইচ নামে একটি টেস্ট করা পরামর্শ দেন।

 

কিন্তু আমরা অনেকেই এই এ এম এইচ টেস্ট কি বা কেন করা হয় সে সম্পর্কে জানিনা। তাই আমাদের আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন এ এম এইচ টেস্ট কি, এ এম এইচ টেস্ট কেন করা হয়, এ এম এইচ কম হলে কি হয়, এ এম এইচ হরমোন কম হলে করণীয়, এ এম এইচ টেস্ট কিভাবে করে, এ এম এইচ টেস্ট কখন করতে হয়, এ এম এইচ টেস্ট নরমাল রেঞ্জ এবং এ এম এইচ টেস্ট খরচ কত বাংলাদেশ সম্পর্কে।


এ এম এইচ হরমোন কম হলে করণীয়


আমরা আজ এই আর্টিকেলে আলোচনা করব  এ এম এইচ হরমোন কম হলে করণীয়


এ এম এইচ টেস্ট কি


এ এম এইচ টেস্ট(AMH-Anti Mullerian Hormone) হলো রক্তের একটি টেস্ট যার মাধ্যমে শরীরে ডিম্বাশারে ডিমের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়।যা প্রজনন অঙ্গের বিকাশ বা উর্বরতা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।


এ এম এইচ টেস্ট কেন করা হয়



বিশেষ করে একজন প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বিভিন্ন সমস্যার কারণে এমএইচ টেস্ট করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

১.ডিম্বাশায়ের ডিম্বাণুর পরিমাণ বা গুণগত মান নির্ণয় করার জন্য চিকিৎসা এ এম এইচ টেস্ট করার পরামর্শ দেন।

২.গর্ভধারণের সক্ষমতা কত আছে তা নির্ণয় করার জন্য চিকিৎসাক এ এম এইচ টেস্ট করার পরামর্শ দেন।

৩.বিভিন্ন ধরনের ওভারিয়ান ডিজিজ যেমন- পিসিওডি(PCOD), পিসিওএস (PCOS) বা ওভারিয়ান ক্যান্সার নির্ণয় করার জন্য এ এম এইচ টেস্ট করার পরামর্শ দেন।

৪.বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় চিকিৎসকের চিকিৎসার ফলে ডিমের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিমাণ জানার জন্য চিকিৎসা এই টেস্ট করার পরামর্শ দেন।


এ এম এইচ কম হলে কি হয়


এ এম এইচ কম হলে ডিম্বাশায়ে ডিম্বানুর পরিমাণ কমে যায়। যার ফলে গর্ভধারণ এ  অক্ষমতা দেখা দেয়।ওভারিয়ান ডিজিজ যেমন- পিসিওডি(PCOD), পিসিওএস (PCOS) এর সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে এ এম এইচ কমে যায়।


এ এম এইচ হরমোন কম হলে করণীয়


১.এ এম এইচ কমে গেলে সর্বপ্রথম একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে এবং তার চিকিৎসা অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। এছাড়াও ঘরোয়া পদ্ধতিতে এ এম এইচ বাড়ানো  যেতে পারে।

২.অনেক সময় ভিটামিন ডি এর অভাব থাকলে শরীরে এ এম এইচ হরমোনের পরিমাণ কমে যেতে পারে তাই ভিটামিন বি যুক্ত খাবার খেতে হবে।

৩.ঝিনুক এ এম এইচ হরমোন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ঝিনুকে আছে প্রচুর পরিমাণে জিংক থাকে। যা ডিম্বাশয়ের ডিমের গুণগত মান বৃদ্ধি করে। 

৪.প্রতিদিন নিয়মিত শারীরিক চর্চা বা ব্যায়াম করলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য সঠিকভাবে বজায় থাকে।


এ এম এইচ টেস্ট কিভাবে করে


এ এম এইচ টেস্ট করার জন্য রক্তের প্রয়োজন। তাই প্রথমে শরীর থেকে রক্ত নিয়ে সেটাকে রেড টিউবে রাখতে হয়। পরে রেড টিউব সেন্ট্রিফিউজ মেশিনে ঘুরিয়ে সিরাম বের করে সেটি দিয়ে টেস্ট করতে হয়। এ এম এইচ টেস্ট করতে ১ -২ ঘন্টা সময় লাগে। 



এ এম এইচ টেস্ট কখন করতে হয়


এ এম এইচ টেস্ট করার জন্য কোন প্রস্তুতির প্রয়োজন হয় না। যেকোনো সময় এই টেস্ট করা যায়।সন্তান ধারনের অক্ষমতা দেখা দিলেই চিকিৎসক এ এম এইচ পরীক্ষা টেস্ট করতে দেন।



 এ এম এইচ টেস্ট নরমাল রেঞ্জ


  • High (উচ্চ) : Over 03.00 ng/ml
  • Normal (সাধারণ) : Over 01.00 ng/ml
  • Low Normal Range(নিম্ন সাধারণ পরিসর): 00.70-00.90 ng/ml
  • Low(কম) : 00.30-00.60 ng/ml
  • Very Low(খুব কম) : Less than 00.30 ng/ml



এ এম এইচ টেস্ট খরচ কত বাংলাদেশ


এ এম এইচ  টেস্ট করতে যেকোনো বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং হাসপাতালে ৪৫০০ -৫০০০ টাকার মতো খরচ হতে পারে।




সর্বোপরি এমএইচ টেস্ট করা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই টেস্টের মাধ্যমেই আমরা জানতে পারি আমাদের ডিম্বাশয়ে ডিম্বানোর পরিমাণ এবং ডিম্বানোর গুণগত মান সম্পর্কে। তাই আমাদের এই টেস্ট সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিয়ে এই টেস্ট করানো উচিত।

Tags:

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)