ডাবল ডোর ফ্রিজ প্রাইস ইন বাংলাদেশ
বর্তমানে প্রায় সব বাড়িতেই ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। মূলত ফ্রিজ খাবার সংরক্ষণ করে রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়। বাজারে বিভিন্ন ব্রান্ডের ফ্রিজ পাওয়া যায়। আমাদের আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা ডাবল ডোর ফ্রিজ প্রাইস ইন বাংলাদেশ,স্যামসাং ফ্রিজ প্রাইস ইন বাংলাদেশ, ওয়ালটন ফ্রিজ বাংলাদেশ প্রাইস, ওয়ালটন মিনি ফ্রিজ প্রাইস ইন বাংলাদেশ, কোন ফ্রিজ ভালো ফ্রস্ট না নন ফ্রস্ট, ভালো ফ্রিজ চেনার উপায়, বাংলাদেশে কোন কোম্পানির ফ্রিজ ভালো সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আমরা আজ এই আর্টিকেলে আলোচনা করব ডাবল ডোর ফ্রিজ প্রাইস ইন বাংলাদেশ
ডাবল ডোর ফ্রিজ প্রাইস ইন বাংলাদেশ
বর্তমানে অনেকেই ডাবল ডোরের ফ্রিজ ব্যবহার করছেন। ডাবল ডোরের ফ্রিজে অন্য সব ফ্রিজের তুলনায় বড় এবং সেপারেট ডোর থাকায় বর্তমানে ডবল ডোর ফ্রিজের চাহিদা বেশি।তবে নরমাল ফ্রিজের তুলনায় ডাবল ডোর ফ্রিজের দাম তুলনামূলক বেশি। নিচে কয়েকটি কোম্পানির ডবল ডোর ফ্রিজের নাম এবং প্রাইজ বা দাম নিচে দেওয়া হলঃ
১.Samsung RS72R5001M9/D3 700L Side By Side Refrigerator- ১,৩০,০০০-১,৪০,০০০ টাকা।
২.Samsung RS72R5011B4/D3 Side By Side Refrigerator- ১,৫০,০০০-১,৬০,০০০ টাকা।
৩.Samsung SS RS72R5001M9/D2 Silver 700 Liter Side By Side Refrigerator- ১,৮০,০০০-১,৯০,০০০ টাকা।
৪.Samsung RS74R5101SL 676L Side by Side Refrigeratorr- ১,৫০,০০০-১,৬০,০০০ টাকা।
৫.Walton WNI-5F3-GDEL-XX (563 Ltr) Refrigerator- ৮২,৪৯০-৮৫,০০০ টাকা।
৬.Walton WNI-5F3-GDEL-DD (563 Ltr) Refrigerator- ৮৭,৪৯০-৯০,০০০ টাকা।
৭.Walton WNI-6A9-GDSD-DD (619 Ltr) Refrigerator- ১,০০০০০-১,০৫,০০০ টাকা।
৮.Walton WNI-6A9-GDNE-DD (619 Ltr) Refrigerator- ১,০০০০০-১,০৫,০০০ টাকা।
৯.Walton WNR-6F0-SCRC-CO Refrigerator- ১,৮০,০০০-১,৮৫,০০০ টাকা।
১০.LG INSTAVIEW REFRIGERATOR 668 LITER NOBLE STEEL (LG GS-X6011NS) - ২,২৭,০০০-২,৩০,০০০ টাকা।
১১.ECO+ 566 LITER SIDE BY SIDE VCM FRIDGE SILVER(Eco+ SBS-566-RSVCM Silver)- ৭৪,০০০-৮০,০০০ টাকা।
১২.LG 694 LITER SIDE BY SIDE REFRIGERATOR NOBLE STEEL(LG GS-Q6472NS) -৩,০০,০০০-৩,০৫,০০০ টাকা।
১৩.SINGER Beko Multidoor Refrigerator 466L B3RGNS46HXPI Silver-১,৩৪,০০০-১,৩৮,০০০ টাকা।
১৪.SINGER Side-By-Side Refrigerator 436 Ltr SF-SBSNS436V Silver-৮৫,০০০-৯০,০০০ টাকা।
১৫.SINGER Side by Side Inverter Refrigerator 529 Ltr SF-SBSNS521DNV Silver - ১,০৫,০০০ - ১,১০,০০০ টাকা।
স্যামসাং ফ্রিজ প্রাইস ইন বাংলাদেশ
বর্তমানে অধিকাংশ মানুষের পছন্দের তালিকা শীর্ষে রয়েছে স্যামসাং কোম্পানির বিভিন্ন মডেলের ফ্রিজ। অধিকাংশ মানুষ স্যামসাং কোম্পানি ফ্রিজ কিনে থাকেন। তবে স্যামসাং কোম্পানির মডেল ভেদে ফ্রিজের দাম ভিন্ন।তাই নিচে স্যামসাং কোম্পানির কয়েকটি ফ্রিজের দাম দেওয়া হলঃ
১.Samsung RB21KMFH5UT/D3 218Ltr Frost Refrigerator -৩৭,০০০-৪০,০০০ টাকা।
২.Samsung RB21KMFH5RH/D3 218Ltr Refrigerator-৩৮,০০০-৪১,০০০ টাকা।
৩.Samsung RT27HAR9DS8/D3 253L Top Mount Refrigerator-৪৫,০০০-৪৯,০০০ টাকা।
৪.Samsung RT29HAR9DDX/D3 275L Refrigerator-৫০,০০০-৬০,০০০ টাকা।
৫.Samsung RT37K5532S8/D3 345L Twin Cooling Refrigerator-৬৭,০০০-৭০,০০০ টাকা।
৬.Samsung RT47K6231BS/D3 465L Twin Cooling Refrigeratorr-৮৭,০০০-৯৫,০০০ টাকা।
ওয়ালটন ফ্রিজ বাংলাদেশ প্রাইস
ওয়ালটন ফ্রিজ বাংলাদেশি পণ্য। অধিকাংশ ফ্যামিলি ওয়ালটন ফ্রিজ ব্যবহার করেন ।ওয়াল্টন ফ্রিজের কয়েকটি মডেলে নামসহ দাম দেওয়া হলঃ
১.Walton WNI-5F3-GDEL-XX (563 Ltr) Refrigerator- ৮২,৪৯০-৮৫,০০০ টাকা।
২.Walton WNI-5F3-GDEL-DD (563 Ltr) Refrigerator- ৮৭,৪৯০-৯০,০০০ টাকা।
৩.Walton WNI-6A9-GDSD-DD (619 Ltr) Refrigerator- ১,০০০০০-১,০৫,০০০ টাকা।
৪.Walton WNI-6A9-GDNE-DD (619 Ltr) Refrigerator- ১,০০০০০-১,০৫,০০০ টাকা।
৫.Walton WNR-6F0-SCRC-CO Refrigerator- ১,৮০,০০০-১,৮৫,০০০ টাকা।
৬.Walton WFC-3F5-GDEL-XX (INVERTER) Refrigerator- ৫৩,৪৯০-৫৫,০০০ টাকা।
৭.Walton WFC-3F5-GAXA-UX-P (INVERTER) Refrigerator- ৫৬,৯০০-৫৮,০০০ টাকা।
৮.Walton WFC-3D8-GDEH-DD (INVERTER) Refrigerator- ৫৫,৯০০-৫৬,০০০ টাকা।
৯.Walton WFC-3D8-GDEL-XX (INVERTER) Refrigerator- ৫০,৯০০-৫২,০০০ টাকা।
১০.Walton WFC-3D8-GJXB-LX-P (INVERTER) Refrigerator- ৫২,৬০০-৫৫,০০০ টাকা।
কোন ফ্রিজ ভালো ফ্রস্ট না নন ফ্রস্ট
ফ্রিজ দুই রকমের হয় । ফ্রস্ট ফ্রিজ এবং নন ফ্রস্ট ফ্রিজ। তবে ফ্রস্ট থেকে নন ফ্রস্ট ফ্রিজ ভালো। কারণ ননফ্রস্ট ফ্রিজ খাবার সতেজ রাখতে সাহায্য করে। নন ফ্রস্ট ফ্রিজে খাবার দুর্গন্ধ হয় না।নন ফ্রস্ট ফ্রিজ ফ্রস্ট তুলনায় বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে এবং খাবার অনেকদিন পর্যন্ত ভালো রাখতে ননফ্রস্ট ফ্রিজ ফ্রস্ট ফ্রিজের তুলনায় ভালো।ফ্রস্ট ফ্রিজে তুলনায় ননফ্রস্ট ফ্রিজে বরফ কম পড়ে।
ভালো ফ্রিজ চেনার উপায়
বর্তমানে ফ্রিজ কেনার আগে অবশ্যই কোন ফ্রিজটি ভালো হবে সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে ফ্রিজ কেনা উত্তম । তবে কেনার সময় অনেকেই বুঝতে পারেন না যে কি দেখে ফ্রিজ কিনলে ফ্রিজ ভালো হবে। তাই নিচে ভালো ফ্রিজ চেনার কয়েকটি উপায় দেওয়া হলোঃ
১.ফ্রিজ কেনার আগে ফ্রিজের কনডেন্সার কপারের তৈরি কিনা সেটা দেখে ফ্রিজ কিনতে হবে।কারণ স্টিলের তৈরি কনডেন্সার গ্যাস লিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং কপালে তৈরি কনডেন্সারে গ্যাস লিক হওয়ার সম্ভবনা থাকে না।
২.ফ্রিজের কম্প্রেসার আধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি কিনা সেটা দেখে ফ্রিজ কিনতে হবে।
৩.ফ্রিজ কেনার আগে অবশ্যই ফ্রিজ ফ্রস্ট না নন ফ্রস্ট সেটা দেখে কিনতে হবে।
৪.ফ্রিজ কেনার আগে অবশ্যই দেখতে হবে ফ্রিজ কতটা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।
৫.ফ্রিজ কেনার আগে ফ্রিজের ওয়ারেন্টি বা গ্যারান্টি কতদিনের সেটা দেখে কিনতে হবে।
৬.ফ্রিজ কেনার আগে ফ্রিজের প্লাস্টিক ফুটবেট ফুড গ্রেড কিনা সেটা দেখে কিনতে হবে।
৭.ফ্রিজ কেনার আগে অবশ্যই দেখে নিতে হবে যে ফ্রিজে বরফ বেশি পড়ে কি না।
৮.ফ্রিজ কেনার আগে অবশ্যই ফ্রিজের মডেল ডিজিটাল কিনা সেটা দেখে কিনতে হবে।
উপরোক্তও উপায়গুলো যদি আপনি ফ্রিজ কেনার সময় দেখে নেন তাহলে অবশ্যই আপনি ভালো মানের একটি ফ্রিজ কিনতে পারবেন।
বাংলাদেশে কোন কোম্পানির ফ্রিজ ভালো
বাংলাদেশে অনেক কোম্পানির ফ্রিজ পাওয়া যায়। তবে এর মধ্যে ওয়ালটন, সিঙ্গার, স্যামসাং, যমুনা, মার্সেল কোম্পানি ফ্রিজ ভালো। কারণ এসব কোম্পানির ফ্রিজের কোয়ালিটি এবং কম্প্রেসার উন্নত বা আধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি।
সর্বোপরি আমাদের আজকের এই পোস্টটি পড়লে আপনারা সব ধরনের ফ্রিজ সম্পর্কে সঠিক তথ্য এবং ফ্রিজের মডেলের নাম এবং প্রাইজ কত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আশা করি আমাদের আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন।