নবজাতকের জন্ডিস হলে মায়ের করনীয়

Pathology Knowledge
0

 নবজাতকের জন্ডিস হলে মায়ের করনীয়


বর্তমানে বাংলাদেশে জন্ডিসের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।ছোট, বড়, বয়স্ক থেকে শুরু করে সবাই এই জন্ডিসের আক্রান্ত হচ্ছে। তবে এর ভিতরে  জন্ডিসের আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।জানবো নবজাতকের জন্ডিস হলে মায়ের করনীয় কি বা নবজাতকের জন্ডিসের লক্ষণ বা জন্ডিস কমানোর উপায়।





আর্টিকেলে আলোচনা করব নবজাতকের জন্ডিস হলে মায়ের করনীয়


জন্ডিস কি


জন্ডিস হল রক্তের বিলিরুবিনের মাত্রা। রক্তে বিলোরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে মূলত  জন্ডিস দেখা দেয়। বিলিরুবিন মূলত যকৃতে উৎপন্ন হয়ে রক্তের সাথে মিশে যায়।যকৃতের প্রদাহ বেড়ে গেলেই মূলত বিলিরুবিনের উৎপত্তি হয়। 


নবজাতকের জন্ডিস কেন হয়


আমাদের দেশে প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ নবজাতকের জন্ডিসের সমস্যা দেখা দেয়। এর  ভিতরে প্রায় ৫০ ভাগ নবজাতকের স্বাভাবিক জন্ডিস এর সমস্যা দেখা দেয়। আমরা জন্ডিস কে ফিজিওলজিক্যাল জন্ডিস বলে থাকি।


  • নবজাতক যদি কম ওজনে ভূমিষ্ঠ হয় বা ডেলিভারি সময়ের আগে নবজাতক ভূমিষ্ঠ হয়।

  • যদি মা ও নবজাতকের ব্লাড গ্রুপ ভিন্ন থাকে।মায়ের ব্লাড গ্রুপ যদি নেগেটিভ হয় এবং নবজাতকের ব্লাড গ্রুপ পজেটিভ হয় তাহলে নবজাতক জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

  • নবজাতক যদি জন্মগতভাবে যকৃতের সমস্যা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে তাহলে জন্ডিসের সম্ভাবনা থাকে।

  • নবজাতকের যদি থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি থাকে তাহলেও নবজাতক জন্ডিসের আক্রান্ত হতে পারে। নবজাতকের গলগ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয় থাইরয়েড হরমোন যা মানব দেহে মস্তিষ্কের বিকাশের সাহায্য করে এবং দৈহিক  বারন ও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে তাই এই হরমোন কম থাকলেও জন্ডিসের আক্রান্ত হতে পারে।

  • জন্মের পর নবজাতকের যদি সঠিক চর্চা বা বৃদ্ধি না হয় তাহলেও জন্ডিসের আক্রান্ত সম্ভাবনা থাকে।


নবজাতকের জন্ডিসের লক্ষণ






  • নবজাতকের হাতের তালু, চোখ, মুখ হলুদ হয়ে যাওয়া।

  • নবজাতকের শারীরিক পরিবর্তন হওয়া।

  • নবজাতকের পায়খানা সবুজ রং ধারণ করা।

  • অনেক সময় নবজাতকের পেটে ব্যথা হওয়া।

  • মাঝে মাঝে বুকের দুধ না খাওয়া।


উপরোক্ত সমস্যাগুলি দেখা দিলে নবজাতককে অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া এবং বিলিরুবিনের পরীক্ষা করে দেখা বিলিরুবিনের মাত্রা কত আছে এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু করা।


নবজাতকের জন্ডিস হলে মায়ের করনীয়


নবজাতকের জন্ডিসের সমস্যা দেখা দিলে মাকে অবশ্যই নবজাতকের বেশি বেশি যত্ন না এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা এবং বারবার নবজাতকের মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।

 
নবজাতকের বিলিরুবিনের মাত্রা কত


মূলত নবজাতকের বিলিরুবিনের মাত্রা ১৫ mg/dl এর বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


নবজাতকের জন্ডিস কমানোর উপায়


নবজাতকের জন্ডিসের সমস্যা দেখা দিলে জন্ডিস কমানোর প্রথম উপায় হল চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং সেই অনুযায়ী নবজাতকের খেয়াল রাখা এবং বেশি বেশি নবজাতকে মায়ের দুধ খাওয়ানো। এছাড়াও নবজাতককে সকালে রোদের আলোয় রাখা এতে শরীরে মাত্রা কমে।


সর্বোপরি আমরা যদি সঠিকভাবে জানতে পারি নবজাতকের জন্ডিসের লক্ষণ গুলো কি কি বা কি কারণে নবজাতকের জন্ডিস হয় তাহলে আমরা সেইভাবে নবজাতকের যত্ন করে নবজাতককে সুস্থ রাখতে পারি।


Tags:

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)