ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ ও তার প্রতিকার

Pathology Knowledge
0

ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ ও তার প্রতিকার


বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ভাইরাসজনিত রোগ বা ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে জীবন যাপন না করা বা এই ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সম্পর্কে সুষ্ঠু ধারণা না থাকা।তাই আমরা আজ জানব ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ কি কি এবং এর লক্ষণ গুলো কি কি এবং প্রতিকারের উপায়।






আমরা আর এই পোস্টে আলোচনা করব ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ ও তার প্রতিকার


ভাইরাসজনিত রোগ





ভাইরাসের নাম রোগের নাম
এইচ আইভি ভাইরাস (HIV virus)              AIDS
হেপাটাইটিস ভাইরাস(Hepatitis virus)  হেপাটাইটিস বি ভাইরাস, হেপাটাইটিস সি ভাইরাস, হেপাটাইটিস ডি ভাইরাস,  হেপাটাইটিস ই ভাইরাস, হেপাটাইটিস এ ভাইরাস/ জন্ডিস বা লিভার ডিজিজ.
করোনা ভাইরাস(Corona virus)              করোনা
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস (Influenza virus)             ইনফ্লুয়েঞ্জা,বার্ড ফ্লু,সুইং ফ্লু
নিপাহ ভাইরাস (Nipah virus)              SARS
চিকুনগুনিয়া ভাইরাস              চিকুনগুনিয়া 
ফ্লাভি ভাইরাস (Flavi virus)              ডেঙ্গু জ্বর
র‍্যাবিস ভাইরাস (Rabies virus)               জলতাঙ্ক
এডিনো ভাইরাস (Adeno virus)              নিউমোনিয়া
ইবোলা ভাইরাস (Ebeola virus)             কোষের লাইসিস
হার্পিস ভাইরাস (Harpes virus)              হার্পিস 
রুবেলা ভাইরাস(Rubella virus)               হাম
পোলিও ভাইরাস (Polio virus)              পোলিও মাইলাইটিস
পোলিওমা ভাইরাস (Polioma virus)               টিউমার
রিহনো ভাইরাস (Rihno Virus)                সর্দি
বেরিসিলা জোস্টার ভাইরাস(Vericella-Zoster virus)              জল বসন্ত
ভেরিওলা ভাইরাস(Veriolla virus)               গুটি বসন্ত

ভাইরাস হওয়ার কারণ


ভাইরাস বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে বিভিন্ন বিভিন্ন কারণে ভাইরাস আক্রান্ত করতে পারে।


 কোন আক্রান্ত ব্যক্তির হাসি কাশি বা সংস্পর্শে আসলে ভাইরাস আক্রান্ত করতে পারে।


এছাড়াও বিভিন্ন ভাইরাস দূষিত বায়ু, পানি বা খাবারের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে।


আবার কিছু কিছু ভাইরাস সেক্সুয়াল ট্রান্সমিটেট এর মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে।


এছাড়াও মশা বা পশু পাখির কামড় থেকেও ভাইরাস ছড়িয়ে থাকে।


ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকা যেকোনো বস্তু বা আইটেম স্পর্শ করলে।


ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ


বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস থাকে তাই বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ হয়ে থাকে।


প্রথম পর্যায়ে ভাইরাল জ্বর বা কাশি হওয়া।


শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হওয়া।


খাওয়ার রুচি কমে যাওয়া বা বমি বমি ভাব পাওয়া।


শরীর দুর্বল বা অলসতা লাগা।


অনেক সময় যকৃতের বা লিভারের প্রদাহ বেড়ে যাওয়া।


উপরোক্ত সমস্যা গুলি দেখা দিলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সঠিক চিকিৎসা নেয়া উচিত।


ভাইরাস প্রতিরোধের উপায়


ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে দূরত্ব বজায় রাখা।

বিশুদ্ধ পানি ও খাবার গ্রহণ করা।

হাতে কাশির সময় মুখ ও নাক ঢেকে রাখা।

সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা।


ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ





ব্যাকটেরিয়ার নাম রোগের নাম
 Neisserria Meningitis                         মেনিনজাইটিস(Meningitis)
Bacillus anthracis                          অ্যানথ্রাক্স(Anthrax)
Vibrio cholera                         কলেরা(Cholera)
Escherichia coli                         ডায়রিয়া(Diarrhoea),Gas gangrene
Shigella dysenteriae                         ব্যাকটেরিয়া আমাশয়(Bacterial dysentery)
Clostridium botulinum                          বোটুলিজম (Botulism)
Corynebacterium diphtheriae                           ডিপথেরিয়া(Diphtheria)
Salmonella enteriditis                          খাদ্যে বিষক্রিয়া(Food poisoning)
Neisseria Gonorrhoea                          গনোরিয়া( Gonorrhoea)
Salmonella typhi                          থাইরয়েড জ্বর(Thyroid fever)
Salmonella paratyphi                          প্যারাটাইফয়েড জ্বর(Paratyphoid fever)
Treponema pallidum                           সিফিলিস(Syphilis)
Streptococcus pyogenes                           বাতজ্বর(Rheumatic fever)
Microbacterium tuberculosis                           যক্ষ্মা(Tuberculosis)

ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্তের লক্ষণ


বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ায় আক্রমণ করলে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দেয় তবে নিজে কিছু সাধারণ উপসর্গ দেওয়া হল।


জ্বর বা কাশি হওয়া।

পেটে বা পিঠে ব্যথা হওয়া।

শরীরের বিভিন্ন স্থান ফুলে যাওয়া।

শ্বাসকষ্ট হওয়া।

বমি বমি ভাব হাওয়া।

কলেরা বা ডায়রিয়া হওয়া।

আমাশয় এর সমস্যা হওয়া।


উপরোক্ত সমস্যা গুলি দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।


ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগের প্রতিরোধের উপায়


সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা।

বিশুদ্ধ পানি ও খাবার গ্রহণ করা।


সর্বোপরি ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস এর মাধ্যমে কোন রোগ ছড়ায় সেই সম্পর্কে যদি আমরা সঠিকভাবে জানতে পারি তাহলে আমরা সতর্ক হয়ে যেতে পারি এবং এই ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি।


Tags:

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)