লোহিত রক্ত কণিকায় নিউক্লিয়াস থাকে না কেন
মানুষের শরীর বিভিন্ন ধরনের কোষ দ্বারা গঠিত হয়। এর ভিতরে লোহিত রক্ত কণিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কোষ।আমরা যে পোস্টের মাধ্যমে লোহিত রক্ত কণিকা সম্পর্কে কিছু তথ্য জানবো।এই পোস্টের মাধ্যমে লোহিত রক্তকণিকা কোথায় গঠিত হয়, লোহিত রক্ত কণিকা কত দিন বাঁচে, লোহিত রক্তকণিকা বেড়ে গেলে কি হয়, লোহিত রক্তকণিকা স্থায়ী নিউক্লিয়াস থাকে না কেন এবং লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে জানব।
আমরা আজ এই আর্টিকেলে আলোচনা করব লোহিত রক্ত কণিকায় নিউক্লিয়াস থাকে না কেন
লোহিত রক্তকণিকা কোথায় গঠিত হয়
লোহিত রক্তকণিকা শরীরের অস্থিমজ্জায় গঠিত হয়।লোহিত রক্তকণিকা অস্থিমজ্জায় গঠিত হতে দুই দিন সময় লাগে।লোহিত রক্তকণিকা শরীরে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বের করে দেয় এবং শরীরের ভিতরে অক্সিজেন সরবরাহ করে।
লোহিত রক্ত কণিকা কত দিন বাঁচে
শরীরে লোহিত রক্তকণিকা ১০০ থেকে ১২০ দিন বেঁচে থাকে বা তিন মাস পর্যন্ত বেঁচে থাকে।তিন মাস পর রক্তকণিকা গুলা নষ্ট হয়ে যায় এবং পুনরায় অস্থিমজ্জায় লোহিত রক্তকণিকা গঠিত হয়।
লোহিত রক্তকণিকা বেড়ে গেলে কি হয়
শরীরে রোহিত রক্ত কণিকা বেড়ে গেলে পলিসাইথেমিয়া রোগের লক্ষণ দেখা দেয়।এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের জটিলতা বা সমস্যা দেখা দেয়।
লোহিত রক্তকণিকা স্থায়ী নিউক্লিয়াস থাকে না কেন
শরীরে অস্থিমজ্জায় লোহিত রক্তকণিকা গঠিত হওয়ার পরে অপরিণত অবস্থায় নিউক্লিয়াস থাকে কিন্তু যখন লোহিত রক্তকণিকা পরিণত হয়। তখন তার ভিতরে হিমোগ্লোবিন নামক প্রোটিন অনেকটা অংশ জুড়ে বিরাজ করে। যার ফলে নিউক্লিয়াস থাকে না। এছাড়াও লোহিত রক্ত কণিকায় নিউক্লিয়াস থাকলে হিমোগ্লোবিন অক্সিজেন সরবরাহ করতে সমস্যা হতো।
লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধির উপায়
লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধির জন্য লাল মাংস, কলিজা এবং সবুজ শাকসবজি খাওয়া যেতে পারে । এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ড্রাই ফ্রুটস যেমনঃ কিসমিস বিনস ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে । অনেক সময় ফলিক অ্যাসিড লোহিত রক্ত কণিকা বাড়াতে সাহায্য করে।লোহিত রক্তকণিকার ভিতরে হিমোগ্লোবিন থাকে আর এই হিমোগ্লোবিন ব্যক্তির জন্য আয়রনের ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
লোহিত রক্ত কণিকা কোথায় ধ্বংস হয়
লোহিত রক্তকণিকা অস্থিমজ্জায় উৎপন্ন হয়ে ১০০ থেকে ১২০ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে। এবং শরীরের অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড বের করে এবং প্লীহায় ধ্বংস হয়।
লোহিত রক্তকণিকা কমে গেলে কি হয়
লোহিত রক্ত কণিকার ভিতরে হিমোগ্লোবিন বিদ্যমান থাকে। আর এই লোহিত রক্তকণিকা কমার ফলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ও কমে যায় যার । ফলে শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।এছাড়াও লোহিত রক্তকণিকা কমার ফলে শরীর দুর্বল লাগে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং ব্যায়াম বা শারীরিক চর্চা করতে সমস্যা হতে পারে ।
সর্বোপরি শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।যা আমাদের শরীরে গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ করে থাকে এবং যার ফলে আমরা সুস্থভাবে শ্বাস প্রশ্বাস গ্রহণ করতে পারি এবং সুষ্ঠুভাবে জীবন যাপন করতে পারি।